জাতীয় প্রেসক্লাবে দীর্ঘদিন পর একজন নারী সাধারণ সম্পাদক দায়িত্বে এসেছেন। একজন নারীকে এই পদে আসতে এত সময় লাগলো কেন?-এমন প্রশ্নের উত্তরে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, প্রেসক্লাবে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হয়েছি।
সাধারণ সম্পাদক প্রেসক্লাবের নীতি নির্ধারণী ও নির্বাহী পদ। তবে প্রশ্ন রয়েছে, এতদিন পরে কেন একজন নারী সাধারণ সম্পাদকের পদে আসলেন। কেন ৬৪ বছর লাগলো। এই প্রশ্নটা আমার মাথায় ঘুরে ফিরে আসে। তবে নারীদের সদস্য সংখ্যা এখানে অল্প একজন নারীকে তো চেষ্টা করতে হবে। নারীদের একটি টার্গেট করতে হবে। আমি জানি না, আগে কেউ এমন চিন্তা করছেন কি-না। তবে আমি সেই চিন্তা করেছি। নারীদের মধ্যে থেকে প্রথম কাউকে এই পদে আসতে হবে। সেই চিন্তা করেই আমি এগিয়েছি ।
নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কি কি করা প্রয়োজন। এমন প্রশ্নের উত্তরে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, যেকোনো ক্ষেত্রে নারীদের কিছু করতে হলে, তার ইচ্ছাশক্তি থাকতে ও আগ্রহ থাকতে হবে। কনফিডেন্ট থাকতে হবে। তবে আমি মনে করি, আমার অর্জন সমগ্র নারীদেরই অর্জন। সব নারীই যেন চিন্তা করতে পারেন, আমিও এটা পারি। এটা শুধু এই ক্ষেত্রে নয়, অন্য ক্ষেত্রেও। আমরা জানি প্রথম পথ তৈরি করা কঠিন। বাধা বিপত্তি পেরোতে হয়। পাথর কেটে কেটে প্রথম পথ তৈরি করতে হয়। আমি নারী হয়ে সেই পথ তৈরি করেছি। এখন এখানে অনেকেই এগিয়ে আসবে।
নারী সাংবাদিকদের প্রতি আপনার পরামর্শ কি?
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, সাংবাদিকতা আর আট-দশটা পেশার মতো নয়। অন্য পেশায় নয়টা-পাঁচটা অফিসের কাজ করলাম। আর মাস শেষে মোটা বেতন নিলাম। এটা তেমন পেশা নয়। এখানে অনেক সময় দিতে হয়। পড়াশোনা করতে হয়। চোখ কান খোলা রাখতে হয়। কি হচ্ছে-কি হতে যাচ্ছে সেটা জানতে হবে। এখানে সব সময় নিজেকে তৈরি করে রাখতে। এই পেশাকে ভালোবাসতে হবে। পেশাকে যারা ভালোবাসেন, তারাই টিকে থাকবে।
ফরিদা ইয়াসমিন বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। বাংলার বাণী, মুক্তকণ্ঠসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকে কাজ করছেন।
এসআইএস/