উৎসব উপলক্ষে শনিবার (৪ নভেম্বর) সাদা কাপড়ের বাঁধনে সেজেছে চায়ের সমৃদ্ধ জেলা মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুরের রাস উৎসবের মণ্ডপ। ফুল, পাতা, দুর্বা ঘাসে তৈরি হয়েছে আসন।
একে একে মণ্ডপে এসে হাজির হলো রাখালের দল। ময়ূর পাখনা আর হলুদ জরির টুপিতে তারা সেজেছে শ্রী কৃষ্ণ। গলায় মালা আর কপালে রয়েছে চন্দনের টীকা।
একটু পরেই শুরু হবে শ্রী কৃষ্ণের বাল্যকালের জীবনাচারণ। ফুটিয়ে তোলা হবে রাখালের নৃত্যের মাধ্যমে। সে নৃত্যের নাম রাখাল নৃত্য। আর তার সঙ্গে থাকবে মৈথিলি ভাষার কীর্তন।
নৃত্য আর কীর্তনের আয়োজনে যোগ দিতে ইতোমধ্যেই হাজির হয়েছেন শত শত মানুষ। আসছেন আরও অনেকেই। আর উপস্থিত সবার মাঝে হঠ্যাৎ করে বিতরণ করা শুরু হলো পান-সুপারি আর ফুল।
বাংলানিউজের কথা হলে আয়োজকদের একজন আলিম কাম্মী জানান, কলাপাতায় মোড়া পান বিতরণ করা অনুষ্ঠানে আগতদের আতিথেয়তা জানানোর জন্য। আর এ উৎসবে তাদের বরণ করে নিতে ফুল দেওয়া হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ রীতি বলেও জানান তিনি।
‘আমাদের কাছে অতিথি ভগবানের মতো। আর শ্রী কৃষ্ণের অনুষ্ঠানে এসে অতিথিরা আতিথেয়তা পাবে না, তাদের বরণ করা হবে না, এটা অসম্ভব। তাই তো এ অনুষঙ্গটি অনুষ্ঠানেরই একটা বিশেষ অংশ,’ যোগ করেন তিনি।
কথা হলো রাস উৎসবে যোগ দিতে আসা আম্বি দেবীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ভগবান শ্রী কৃষ্ণের উৎসবে আসবো আর আতিথেয়তা পাবো না এমনটা তো হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৭
এইচএমএস/এমএ