ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়ে ১৯ হাজার মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের আশা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়ে ১৯ হাজার মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের আশা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাঠ জুড়ে যেন হলুদের সমাহার। তাকালেই দুই চোখে দেখা যায় হলুদ আর হলুদ।

যেন অলংকারে সেজেছে প্রকৃতি। বাতাসে হেলে দোলে সরিষা ফুল গুলো সুভাষ ছড়িয়ে দিচ্ছে চারদিকে। আর মৌমাছি দল বেঁধে সরিষা ফুল থেকে মধু আহরণ করছে।  

এ জেলায় এবার সরিষার আবাদ বেড়েছে। বৃষ্টিপাত না হওয়াই এখন পর্যন্ত মাঠের অবস্থা ভাল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।  

এ মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর, বিজয়নগর, আশুগঞ্জ, সরাইল, বাঞ্ছারামপুরসহ ৯ উপজেলায় সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। আবাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে নতুন জাতের সম্প্রসারণ। এ বছর সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে।  

নতুন জাতের বিনা-৯ ও বারি-১৪, ১৭ এবং ১৮ জাতের সরিষা। তৈল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমন মৌসুমের শুরু থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরিষার আবাদ কার্যক্রম শুরু করে কৃষি বিভাগ।  

একাধিক কৃষক বাংলানিউজকে জানান, তবে গত কয়েক বছর ধরে বৃষ্টিপাত হওয়ায় সরিষার অনেক ক্ষতি হয়েছিল। সার এবং প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ কিছুটা বাড়লেও ফলন এবার ভাল হয়েছে। প্রতি কানি (৩৯ শতাংশ) জমিতে ৩/৪ মণ সরিষা পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে এ বছর নতুন জাতের সম্প্রসারণের পাশাপাশি প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর অতিরিক্ত জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এতে এ বছর জেলায় প্রায় ১৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদিত হবে। সরিষার আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কৃষক সমাবেশের পাশাপাশি ২২ হাজার কৃষককে প্রতি ১ বিঘা জমির জন্য প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়ার কথা জানালেন কৃষি বিভাগের এই শীর্ষ কর্মকর্তা

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।