ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আরব-আমিরাত

বাংলানিউজের ক্যামেরায় আমিরাতের জায়েদ মসজিদ

মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, আমিরাত করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৫
বাংলানিউজের ক্যামেরায় আমিরাতের জায়েদ মসজিদ

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে: সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে অবস্থিত শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে দেশটির প্রধান রূপকার ও দীর্ঘ সময় ধরে রাষ্ট্রপ্রধান থাকা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের নামে।

মসজিদটির পূর্ণ নাম ‘শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মস্ক’, যা ২০০৭ সালের রমজান মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত হয়।



শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড় মসজিদ এবং পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম। এই মসজিদে ৪০ হাজারের বেশি মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের ডানপাশে রয়েছে শেখ জায়িদের মাজার, সেখানে প্রতিনিয়ত কুরআন তেলাওয়াত চলতে থাকে।

আমিরাতের অন্যতম জনপ্রিয় এ মসজিদটি যেন দুই ঈদে সারাবিশ্বের পর্যটকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। এবারের ঈদ আনন্দে পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এ মসজিদটি দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়। শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ দেখার জন্য শুধু শুক্রবার ছাড়া, অন্য ধর্মের যে কেউ প্রবেশ করতে পারেন। এছাড়া প্রধান গেট থেকে অন্য ধর্মের নারীরাও কালো বোরকা পরিধান করে ভেতরে যেতে পারেন। আর এ সুযোগে নানা বয়সী-নানা ধর্মের পর্যটনদের উপস্থিতি হয় চোখে পড়ার মতো। সেই সঙ্গে স্থানীয়রা তো রয়েছেনই।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, জার্মানি, মরক্কো, পাকিস্তান, ভারত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইরান, চীন, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড ও গ্রিসসহ ৩৮টি প্রখ্যাত ঠিকাদারি কোম্পানির তিন হাজার দক্ষকর্মী এ মসজিদ নির্মাণে শ্রম দেন। ‍এসব দেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের কাঁচামালে নির্মিত মসজিদটিতে রয়েছে ছোট-বড় সাত আকারের ৮২টি গম্বুজ।

সরকারি কোষাগার থেকে নির্মিত এ মসজিদ নির্মাণে খরচ হয় ৫৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ সাড়ে ৫৪ কোটি মার্কিন ডলার।

শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদটি তিনটি কক্ষে বিভক্ত, প্রধান নামাজ কক্ষে ৭ হাজার এবং এর সঙ্গে অবস্থিত দুটি নামাজ কক্ষের প্রতিটিতে ১৫শ’ করে মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন। যার মধ্যে একটি পুরুষদের অন্যটি নারীদের নামাজের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। আরও রয়েছে অজু খানা, টয়লেট, পানি পান করার সুন্দর স্থান।

মসজিদের প্রধান কক্ষের দেয়ালে রয়েছে আল্লাহ গুণবাচক ৯৯টি নাম, নিচে কারপেটটি ৬০৫৭০ বর্গ ফুট এবং এ কারপেটের ওজন ৩৫ টন। যা তৈরি করেছে নিউজিল্যান্ড এবং ইরানের উল কোম্পানি। এটিতে শুধুমাত্র জুমা ও ঈদের নামাজ হয়।

শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদে স্ফটিক স্বচ্ছ লাখ লাখ পাথরের জার্মানির তৈরি পৃথিবীর বৃহত্তম ঝাড়বাতিটি ব্যাস ১০ মিটার (৩৩ ফুট) এবং উচ্চতা ১৫ মিটার (৪৯ ফুট)। এ গ্র্যান্ড মস্ক বা বড় মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার তিনবছর আগে ২০০৪ সালে শেখ জায়েদ মারা যান।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৫
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আরব-আমিরাত এর সর্বশেষ