ঢাকা: রাত আড়াইটা। হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
কথা বলা হয় টার্মিনালের প্রবেশ পথে নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা মো. মোস্তফার সঙ্গে।
মো. মোস্তফা বলেন, দেশে গত কয়েক মাস যাবৎ অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের থেকে আরো কঠোর করা হয়েছে।
তল্লাশি চৌকতে তল্লাশি বাড়ানোর পাশাপাশি বিমানবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানালেন তিনি।
নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিমানবন্দরের বর্হিগমন হলে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ছাড়া বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারছে না বহির্গমন হলে। আগে ৩০০ টাকার টিকিটের বিনিময়ে হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন হলে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারতেন।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা-সহিংসতার কারণে বিমানের যাত্রীর সংখ্যা আগের তুলনায় কমে এসেছে।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই টানা হরতাল অবরোধ ছিলো। আর এখনকার ফ্লাইটগুলোর টিকিটতো আগেই করা হয়েছে। তাই অনেকের প্রয়োজন থাকলেও হরতাল অবরোধের আশঙ্কায় টিকিট করা থেকে বিরত ছিলেন। তাছাড়া শীতের প্রকোপ বাড়াটাও অনেক প্রভাব ফেলেছে।
কোনো ধরনের ঝামেলায় পড়ার আশঙ্কায় ফ্লাইটের কয়েক ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে এসেছেন লিবিয়ার যাত্রী মুহাম্মদ আরশাদ।
আরশাদ বাংলানিউজকে বলেন, ফ্লাইট সকাল ৭ টা ১০ মিনিটে। কিন্তু আসলাম রাত ২টায়। কারণ সকালে যে আবার পরিস্থিতি অশান্ত হবে না তারতো কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর আমার যেহেতু যেতেই হবে তাই রাতেই চলে আসলাম।
শুধু আরশাদ না এমন আরো অনেকেই সহিংসতা-গণ্ডগোলের আশঙ্কায় আগেই ভাগেই বিমানবন্দরের এসেছেন গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর লক্ষ্যে।
শীতের প্রকোপ ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সব মিলিয়ে বিমানবন্দরের টার্মিনালের সামনের অংশ ছিলো বেশ ফাঁকা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২০ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৩
ইউএম/এসএফআই