ঢাকা: এয়ারবাসের উড়োজাহাজ অচল হওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবার বোয়িং ৭৬৭ লিজের উদ্যোগ নিয়েছে।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, আসলে এয়ারবাস বিকল হওয়ায় এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ খুশি।
কমিশনের লোভে নিজস্ব উড়োজাহাজ বসিয়ে বিমানের লিজের উড়োজাহাজ চালানোর চক্রান্ত নতুন নয়। এর আগেও বিমানের এ ধরনের বহু ঘটনার নজির রয়েছে। সুযোগ পেলেই লিজে উড়োজাহাজের চেষ্টা চালায় এয়ারলাইন্সের একটি চক্র।
কেভিন স্টিল বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর লিজ নেওয়ার প্রবণতা আরো বেড়েছে। কারণ লিজ নিতে পারলেই মোটা অংকের অর্থ মেলে কমিশনের মাধ্যমে। যে কারণে কেভিন স্টিল বোয়িং থেকে কেনা উড়োজাহাজ বিক্রি করে উড়োজাহাজ লিজের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে তিনি দুটি বোয়িং ৭৭৭ লিজ নিয়েছেন।
বিমানের এয়ারবাস এ-৩১০ উড়োজাহাজ বিকল হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ বোয়িং ৭৬৭ উড়োজাহাজ ভাড়া নিতে যাচ্ছে এক মাসের জন্য। এজন্য তাদের অনেক বেশি অর্থ দিতে হচ্ছে। বিমান কর্তৃপক্ষ বলেছে, লিজদাতা কোম্পানি যে টাকা চাইবে বিমান তা-ই দিতে প্রস্তুত। এর আগে বিমান এই উড়োজাহাজটি লিজ নিয়েছিল। বিমানের নির্ভরযোগ্য একটি
সূত্র জানায়, বিমানের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বোয়িং ৭৬৭ এর লিজদাতা কোম্পানির সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে। যে কারণে বারবার এই উড়োজাহাজটি লিজ নেওয়া হচ্ছে।
বিমানের এয়ারবাসটি এক মাসের আগে ত্রুটি সারানো সম্ভব হবে না বলে বিমানের প্রকৌশল শাখা সূত্র জানিয়েছে।
শুক্রবার এয়ারবাসের বডিতে ফাটল দেখা দেয়। বিমানের প্রকৌশলীরা মনে করেছিলেন ল্যান্ডিং গিয়ারে কোনো সমস্যা হয়েছে। পরে ওই ত্রুটি সারতে গিয়ে দেখা যায়, এয়ারবাসের বডিতে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে।
বিমানের এক প্রকৌশলী বাংলানিউজকে জানান, এ ধরনের ফাটল নিয়ে উড়োজাহাজ পরিচালনা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ উড়োজাহাজ চলন্ত অবস্থায় বাতাসের চাপে এই ফাটল আরো বাড়তে পারে। তাই কোনোভাবেই এই উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৪