ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিতর্কিত ফ্লাইট অপারেশন পরিচালক (ডিএফও) ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ বিদায় নিয়েছেন।
বিমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ইশরাত আহমেদকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেয়।
বর্তমানে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ইশরাত আহমেদেরও সিনিয়র ক্যাপ্টেন দিলদার আহমেদ তোফায়েলকে।
বিমানের দক্ষ বৈমানিক ক্যাপ্টেন সারোয়ার ও ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহকে চাকরিচ্যুতির পেছনে ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদের হাত ছিল বলে মনে করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত হাজির করেই এই দুই বৈমানিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এয়ারলাইন পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) ইশরাত আহমেদকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে। বাপা’র সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতেই বিমানের বৈমানিকেরা কাজ করেন ও বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন।
বাপা’র সদস্যপদ হারানোর পর ইশরাত আহমেদ বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের এক আদেশে বেতন-ভাতা পেতেন।
কিন্তু ইশরাত আহমেদ বিমানের ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের পরিচালকের পদ থেকে বিদায় নেওয়ায় কিভাবে বেতন-ভাতা পাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
শুধু এটিই নয়, ইশরাত আহমেদের বিরুদ্ধে আরো বিতর্কিত অভিযোগ ছিল। বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। তবে বিভিন্ন বিকর্তিত ঘটনার পর থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।
বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ইশরাত আহমেদ পুনরায় চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা চালান। এতকিছুর পরেও শেষ পর্যন্ত তিনি এই পদ ধরে রাখতে পারলেন না।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৪