রিয়াদ: বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষের মিটিং হবে এবং তার পরপরই বিমান উড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কোম্পানির সৌদি আরব কান্ট্রি ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ। আর এ আশায় দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন যাত্রীরা।
বৃহস্পরিবার তিনি বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, পরিচালনা পর্ষদে ভুল বুঝাবুঝির কারণে ফ্লাইট অনিদির্ষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। আজকের মিটিংয়ের পর সন্ধ্যা থেকে ফ্লাইট চলাচল করবে বলেও আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক রুটে একটি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এক কোটি টাকার প্রয়োজন। যা কোম্পানির চেয়ারম্যান বা এমডির সই ছাড়া পাওয়া সম্ভব নয়। নতুন চেয়ারম্যান এবং এমডি টাকা ছাড় দিলে ফ্লাইট চালু হবে।
লাখ লাখ টিকিট বিক্রির পর ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।
এদিকে যথাসময়ে ফ্লাইট না আসায় জেদ্দা আটকা পরেছেন শত শত বাংলাদেশী যাত্রী। কবে বিমান আসবে? আদৌ ইউনাইটেডের ফ্লাইট চালু হবে কি-না তা নিয়েও যাত্রীদের শঙ্কা কাটছে না।
জেদ্দার মুসাইদ মুশাইদ ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজমের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম পাবেল বাংলানিউজকে বলেন, শুধু আজকের (বৃহস্পতিবার) ফ্লাইটের জন্য আমার অফিস থেকে ইউনাইটেড ইয়ারওয়েজের ৩০ জন টিকিট নিয়েছেন। তারা বারবার ফোন দিয়ে জানতে চাচ্ছেন ফ্লাইট যাবে কি-না? আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তারা জানিয়েছে ফ্লাইট চালু হবে।
তিনি আরও বলেন, ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ দ্রুত একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আসতে না পারলে অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর উপায় থাকবে না।
শফিকুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, ‘দেশীয় বিমান কোম্পানি তাই ইউনাইটেডে টিকেট নিয়েছিলাম। এখন দেখছি পরিবারে সঙ্গে ঈদ করা অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। তাই ফ্লাইট অপারেট করতে না পারলে দ্রুত টাকা ফেরত দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন শফিকুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৪