ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

চায়না এয়ারলাইন্সের একচ্ছত্র আধিপত্য

ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
চায়না এয়ারলাইন্সের একচ্ছত্র আধিপত্য

ঢাকা: বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি হলেও আকাশপথে যাতায়াতের আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।



বাংলাদেশ থেকে কোনো এয়ারলাইন্স সরাসরি চীনে প্রবেশ করতে পারে না বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাই চীনের দু’টি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছে। যার ভোগান্তির শিকার হয়ে প্রতিনিয়ত বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে বাংলাদেশের যাত্রীদের।

বাংলাদেশ থেকে চীনের বিভিন্ন শহরে যেতে আকাশপথে দুই ঘণ্টা থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় প্রয়োজন। ভাড়া লাগবে ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু একই দূরত্বে অন্য দেশে যেতে ভাড়া পড়ে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। যেহেতু চীনে যেতে বাংলাদেশ থেকে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স ও চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের বিকল্প নেই তাই তারা তাদের ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছেন।

শুধু তাই নয়, যাত্রীবাহী প্লেনে মালামাল পরিবহন করছে এয়ারলাইন্স দু’টি। অথচ নিয়ম অনুযায়ী পণ্য বহনের জন্য কার্গো প্লেন ব্যবহার করার কথা রয়েছে বলে জানা যায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) থেকে।

শুধু বাড়তি ভাড়াই নয় সেবাগত দিক থেকে চীনের দু’টি এয়ারলাইন্সের মান ভালো নয় বলে মন্তব্য করেছেন ডিসকভারি ট্যুরস অ্যান্ড লজিস্টিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আলম ভূঁইয়া।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন গড়ে চীনে ৫শ’ থেকে ৬শ’ যাত্রী যাতায়াত করেন। দেশটিতে যাতায়াতকারী যাত্রীদের একমাত্র ভরসা চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স ও চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স। আর এই দু’টি এয়ারলাইন্স জানে তাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তাই তারা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করে। শুধু তাই না- তাদের খাবার ও সেবার মানও খারাপ।

অন্যদিকে, বাড়তি ভাড়া ও সেবার মানের দিকে নিয়ে কথা বলেন সিলেটের বৃহৎ ট্রাভেল এজেন্সি লতিফ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপক শামিম আহমেদ।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, চায়না ইস্টার্ন ও চায়না সাউদার্ন থেকে যেসব সিটের ভাড়া ৩০ হাজার টাকা বলা হয় সেসবের টিকিট কখনোই যাত্রীরা পান না। তারা নামমাত্র এসব সিটের কথা লিখে রেখেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের যাত্রীরা প্রতিনিয়ত চায়নার এসব এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। কারণ আর কোনো এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে সরাসরি চীনে যায় না। তবে যাত্রী সেবা ও ভাড়ার বিষয়ে মাথাব্যথা নেই চায়নার দু’টি এয়ারলাইন্সের।

চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশের এজেন্ট কোম্পানির চেয়ারম্যান এম কে এম মহিউদ্দিন জানান, বর্তমানে যে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে তা কম না বেশি সে বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। কারণ যাত্রীরা তো যাচ্ছেনই। তারা তো ইচ্ছে করলে অন্য এয়ারলাইন্স দিয়ে মালয়েশিয়া বা অন্য কোনো দেশের মাধ্যমে যেতে পারেন। আর সেবার মান আমরা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। ভাড়া সাধারণত চীনের হেড অফিসের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। এ বিষয়ে আমাদের কোনো কিছু করার নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
ইউএম/আইএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।