ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কাজে বিদেশি পরামর্শক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৬
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কাজে বিদেশি পরামর্শক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন

ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজের উন্নয়নে ছয় মাসের জন্য বিদেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের কথা ভাবছে সরকার। তারা প্রশিক্ষণ ও পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।



আর আগামী ৩১ মার্চের আগেই সন্তোষজনক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

যুক্তরাজ্যে কার্গো বিমানের নিরাপত্তা ইস্যুতে রোববার (১৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ব্রিটিশ হাই কমিশনার এবং তাদের এ অঞ্চলের নিরাপত্তা প্রধানের সঙ্গে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টাও উপস্থিত ছিলেন।

বিমান বন্দরে নিরাপত্তার জন্য বিদেশি পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাব বিষয়ে বিমানমন্ত্রী মেনন বলেন, তাদের পক্ষ থেকে কিছু কাজের কথা বলা হয়েছে- যেগুলো নিরাপত্তার জন্য এই মুহূর্তে করা উচিত।

‘তারা বলেছে ট্রেনিং এবং সুপারভাইজরির ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারবে। এক্ষেত্রে তারা কিছু কোম্পানির নামও প্রস্তাব করেছে। তবে নাম চূড়ান্ত হয়নি। এতে এভিয়েশন নিরাপত্তা মোটামুটিভাবে এগিয়ে যাবে। ’

নিরাপত্তার জন্য আগে থেকে সেই কাজগুলো করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ওরাও দেখে বলেছে ৭০ শতাংশ অর্জন হয়েছে। পরবর্তীতে যখন কার্গো বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো, আমরা অবাক হয়েছি।

‘এখন তারা বলছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা দেখতে গিয়ে কার্গো বিমানে মনোযোগ কম হবে সেজন্য আমরা কার্গো বন্ধ রেখেছি। ’

নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছি। নিয়োগকৃত ২৫০ জনের জনবলে পুলিশ, আনসার, এয়ারফোর্সের লোক আছে। এর বাইরে ৯০ কোটি টাকার ইক্যুপমেন্ট আনার ব্যবস্থা করছি। এগুলো আনতে সময় লাগবে।

‘এই সময়কালে বিদেশি কোম্পানিগুলো প্রথম দিন থেকে ট্রেনিং শুরু করবে এবং সুপারভাইজরি লেভেলের যে কাজ তা দেখবে। আমাদের কর্মীদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করবে। এটা (নিরাপত্তা ব্যবস্থা) আমরা তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি না। আমরা আপাতত তাদের সার্ভিস নেব। ’

প্রশিক্ষণ, সুপারভাইজরি প্রশিক্ষণ, স্ক্যানিংয়ের প্রশিক্ষণ এবং সংশ্লিষ্টকাজের ক্ষেত্রে তারা পরামর্শ দেবে। আর সার্ভিস দেবে আমাদের কর্মীরা।

আলোচনার ভিত্তিতে ৬ মাসের জন্য তাদের সার্ভিস নেওয়ার চিন্তা করছে সরকার, দরকার হলে আবার বাড়বে। তবে বিদেশি পরামর্শক স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে না।

‘ওরা বলছে তোমরা ভালো করছো সন্দেহ নেই তবে ধারাবাহিক না, একদিন ভালো হচ্ছে, একদিন খারাপ হচ্ছে। তারা টেকসই করতে বলেছে। ’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মিটিংয়ে একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান মেনন।

বিমানমন্ত্রীকে প্রধান করে কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, বিমান সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ সাত সদস্য রয়েছেন।

এই কমিটি প্রতিদিন বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নজর রাখছে। আমি নিজেও সেখানে অফিস করছি, দেখভাল  করছি, যোগ করেন মন্ত্রী।

‘আমরা আমাদের জনশক্তি দিয়ে কাজ শুরু করেছি। প্রশিক্ষণ চলছে, আশা করি নির্ধারিত সময় সীমা ৩১ মার্চের আগে তাদের সন্তোষজনক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে দিতে পারবো। ’

এর আগে ভারতের হাই কমিশনার হর্স বর্ধন শ্রিংলা বিমানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভারতের জন্যও উপকার হবে বলে মনে করেন মন্ত্রী।

এদিকে বণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাই কমিশনার সাক্ষাতের পর মন্ত্রী জানান, আগামী ২০ মার্চ সার্ভিস কনট্রাকটর নিয়োগ করা হবে। তারা নিরাপত্তার কাজগুলো দেখবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৬/আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা.
এমআইএইচ/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।