কয়েক দশকের ব্যবসা সফল এই এয়ারলাইনসের এমন অপেশাদার আচরণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্ষোভও প্রকাশ করলেন আটকে পড়া যাত্রীরা।
ঢাকা থেকে কেবল ব্যাংককের যাত্রীরা নন, সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্টকে ট্রান্সফার পয়েন্ট ধরে বেশ কিছু কানেকটিং ফ্লাইট এর যাত্রীও ধরা পড়লেন থাই এয়ারওয়েজের অপেশাদারিত্বের ফাঁদে।
আশাহত যাত্রীদের অভিযোগ, এখন মোবাইল-ইন্টারনেটের যুগ। মোবাইল নাম্বার আর ই-মেইল অ্যাড্রেস দিয়েই তো টিকিট বুকিং করতে হয়। আর এখন প্রায় সব এয়ারলাইনসই ই-মেইলে প্লেন শিডিউলের আপডেট দিয়ে থাকে। তাহলে থাই এয়ারওয়েজ সেটা কেনো করলো না? এমনিতেই রোজার মাস। ফ্লাইট বাতিলের খবর আগে পেলে তো আর এতো জ্যাম ঠেলে এয়ারপোর্টে আসতে হতো না।
তবে ফ্লাইট বাতিলের গুমোরই যেনো ফাঁস করলেন ঢাকা-ব্যাংকক রুটের নিয়মিত এক যাত্রী। ওই ফ্লাইটে সওয়ার হওয়ার কথা ছিলো তারও। কিন্ত এয়ারপোর্টে এসে ফ্লাইট বাতিলের খবর শুনে বললেন, এ রুটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ফ্লাইট শুরু করার পর যাত্রী সংকটে পড়েছে থাই এয়ারওয়েজ। ঢাকা থেকে দিনে-রাতে তাদের দুটি ফ্লাইট ব্যাংকক যেতো এতো দিন। কিন্তু যাত্রী সংকটে রাতের ফ্লাইটটি প্রায় বন্ধই হয়ে গেছে। দিনেরটাও বন্ধ হলো বলে।
থাই এয়ারওয়েজের ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রতি দিনের মতোই রোববার (১৮ জুন) ব্যাংককের স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১১টায় সুরর্ণভূমি এয়ারপোর্ট থেকে ছেড়ে আসা বোয়িং ৭৭৭ এয়ারক্র্যাফটি বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টা ১০ মিনিটে ফিরতি পথ ধরার কথা। কিন্তু ফ্লাইট স্ট্যটাসে কেবল ‘ক্যানসেলড’ লিখে দায় সেরেছে কর্তৃপক্ষ। পবিরর্তিত সময় বা বিকল্প কিছু ওয়েবসাইট দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
জেডএম/