করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ায় আক্রান্ত দেশের সঙ্গে ভ্রমণ যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে বিমান। গত ৭ মার্চ বিমানকে কুয়েত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তারপর একেএকে নিষেধাজ্ঞা দেয় সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর। শুক্রবার (২০ মার্চ) থাইল্যান্ড নিষেধাজ্ঞা দিলে ব্যাংককেও ফ্লাইট বন্ধ করার ঘোষণা দেয় বিমান। বর্তমানে শুধু যুক্তরাজ্য ও নেপালে চলাচল করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। নয় দেশের ১৩ আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ রয়েছে বিমানের।
সার্বিক পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদে লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে বেশ সময় লাগবে বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোকাব্বির হোসেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সময় লাগবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকবে।
এদিকে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটেও। যাত্রী সংকট থাকায় প্রতিদিনই ফ্লাইট বাতিল করছে এয়ারলাইন্সটি। গত কয়েকদিনে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে অন্তত ৫০টি বেশি ফ্লাইট বাতিল করে বিমান।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পৃথিবীর ১৬টি আন্তর্জাতিক গন্তব্য ও অভ্যন্তরীণ সাতটি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।
ঢাকার একটি বেসরকারি ট্রাভেল এজেন্টের কর্মকর্তা সাইফ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের জন্য সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে। কী হবে বুঝতে পারছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
টিএম/আরআইএস