ঢাকা: অবশেষে সরছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা বন্ধ হয়ে যাওয়া চার এয়ারলাইন্সের ১২টি পরিত্যক্ত উড়োজাহাজ। ইতোমধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলো নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ তথ্য জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ চলছে। ফলে পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলো নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্রেতা পাওয়া না গেলে কেজি দরে বিক্রি করা হবে উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ।
জানা গেছে, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো ভিলেজের সামনে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে চারটি এয়ারলাইন্সের ১২টি পরিত্যক্ত উড়োজাহাজ। দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজ অ্যাপ্রোনের বিশাল অংশ দখল করে রাখা উড়োজাহাজগুলো সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বেবিচকের তথ্য মতে, পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলোর মধ্যে রয়েছে বন্ধ হয়ে যাওয়া ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের আটটি ও জিএমজির একটি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দু’টি ও অ্যাভিয়েনা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ।
বেবিচক কর্মকর্তারা বলছেন, এসব এয়ারলাইন্সের কাছে কয়েকশ’ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বেবিচকের। কোনো ধরনের চার্জ পরিশোধ না করেই উড়োজাহাজগুলো বছরব্যাপী বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকায় ফেলে রাখা হয়।
বেবিচক কর্মকর্তারা আরও জানান, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচকের বকেয়া পাওনা ১৯০ কোটি ১৬ লাখ ১৬ হাজার ৯৩৫ টাকা, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছে বকেয়া পাওনা ২৩৬ কোটি নয় লাখ ৩২ হাজার ৭০ টাকা ও জিএমজি এয়ারলাইন্সের কাছে বকেয়া পাওনা ৩২৬ কোটি ১৪ লাখ নয় হাজার ৫৪৫ টাকা।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়াই ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ করে দেয় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। ২০০৫ সালে বেবিচকের অনুমোদন পাওয়ার পর ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ফ্লাইট অপারেশন শুরু করেছিল এ এয়ারলাইন্সটি। বেবিচক দেশের বিমানবন্দরগুলো থেকে এয়ারলাইন্সটির উড়োজাহাজ সরানোর জন্য একাধিকবার নোটিশ করলেও কোনো ধরনের উদ্যোগ নেননি মালিকরা।
এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পরিত্যক্ত উড়োজাহাজ সরাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২০
টিএম/আরআইএস/