ঢাকা: কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের বাস্তবায়ন তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যৌথভাবে কোরিয়ান কোম্পানি উজো এবং সানজিনকে জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এজন্য কোরিয়ান কোম্পানি দু’টিকে দিতে হবে ৫৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫৩৯ টাকা।
বুধবার (২৫ আগস্ট) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও ঊর্ধ্বতন কমকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ হচ্ছে সমুদ্রের জলরাশির ওপর। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দিনরাত সাগরজল ছুঁয়ে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ওঠানামা করবে এই রানওয়েতে। ইতোমধ্যে ‘কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সমুদ্রে সম্প্রসারণ প্রকল্পের’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশে প্রথমবারের মত সমুদ্রবক্ষের ওপর নির্মিতব্য ১ হাজার ৭০০ ফুটের রানওয়ের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যার পুরোটাই অর্থায়ন করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। রানওয়ের অন্তত ৭০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের পানির ওপর। এটিই হবে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে। বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হলে কক্সবাজারের পর্যটন ও অর্থনৈতিক বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
এমআইএস/এমআরএ