বুধবার (জানুয়ারি ০৪) বেলা ১২টার দিকে হাতিরঝিল পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৯ সালে আমি যখন প্রথমবার পূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেই।
তিনি আরও বলেন, এর পূর্বে যারা সরকারে এসেছে, এরশাদ সাহেব, জিয়াউর রহমান যারাই এসেছে। তারা কিন্তু গুলশান বনানীর লেক ভরাট করে তাদের এমপি-মন্ত্রীদের প্লট দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজাদ মসজিদ যেটা আছে ‘ইট ওয়াজ ব্যাংক অব লেক’। এবার বুঝতে পারেন তারা কিভাবে লেক ভরাট করে তাদের লোকজনকে প্লট দিয়েছে। আমাদের ওয়াটার বডিগুলোকে সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিয়েছে। এবং সেই ওয়াটার বডিগুলোকে এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রক্ষা করছেন। ’ যোগ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাতিরঝিল নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তখন আমরা আর সময় পাই নাই, তাই করতে পারি নাই। এরপরে আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পরে আবার সেই কাজ শুরু করেন। এই যে দৃষ্টি নন্দন হয়েছে, বিশাল জলাশয় সৃষ্টি হয়েছে এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আগে মানুষ ঢাকা শহরে নৌকা পথে এদিক ওদিক যেতো। মানুষ যেনো আবারও সেই সুবিধা পায়। সেই মোতাবেক এখন নৌপথে ওয়াটারট্যাক্সি করেছি, এই সুবিধা যেন আরো পায় এবং আরো বেশিদূর যেতে পারে সেই জন্য আমরা লেক আরো ফরোয়ার্ড করছি। আমরা অনেকদূর পর্যন্ত চলে যাবো। এটা গুলশান বারিধারা পর্যন্ত যাবে। এছাড়া লেকের উপরে আরো আট থেকে ১২টির মতো দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ হবে। যেন মানুষ আরো তাড়াতাড়ি যেতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, হাতিরঝিলকে কেন্দ্র করে আমরা বড় একটি কনভেনশন সেন্টার করবো। এবং সেই কনভেনশন সেন্টারে পার্কিং ফেসিলিটিজ রাখা হবে। কারণ কনভেনশন সেন্টার তারপর মুক্তমঞ্চে লোকজন অনেকে গাড়ি নিয়ে আসবে। তার পার্কিং ফেসিলিটিজের জন্য আমরা বিশাল ব্যবস্থা রাখছি।
তিনি বলেন, এখানে অপেরা হাউজ হবে। সেখানেও আমরা পার্কিং ব্যবস্থা রাখবো। অপেরা হাউজতো বাংলাদেশে কোনো দিন দেখে নাই। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব ইচ্ছা এখানে অপেরা হাউজ হোক। মানুষের বিনোদনের জন্য হাতিরঝিল রাজধানীর এবং বাংলাদেশের আইকন। আমরা চেষ্টা করবো যত দ্রুত এসব করা যায়।
তিনি আরো বলেন, অনেকেই আপনারা দেখছেন লন্ডন আই। সিঙ্গাপুরেও মানুষ এটা দেখতে যায়। এখানেও আমরা একটা ঢাকা আই করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সুতরাং সবকিছু মিলিয়ে হাতিরঝিলকে ঘিরে ঢাকা আইকন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
বিজিএমইএ ভবন কবে নাগাদ সরানো হবে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর আগে ৠাংগস ভবন যেভাবে ভাঙা হয়েছে আমরা সেভাবে এটা ভাঙবো না। কারণ ৠাংগস ভবন ভাঙার সময় আমাদের কয়েকজন লোক মারা গিয়েছে। আমরা আধুনিক পদ্ধতিতে এটা ডেমোলাইজ করবো। যাতে করে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয়। এবং এটা করবোই আমরা। ওদেরকে ৯০ দিন সময় দিয়েছে, ওরা না ভাঙলে আমরা ভাঙবো।
মন্ত্রী এ সময় হাতিরঝিলের মেরুলবাড্ডা সংলগ্ন ওয়াটার টেক্সি স্টপেজ থেকে ওয়াটার টেক্সিতে করে কারওয়ান বাজার, গুলশান লেকের কিছু অংশ পরিদর্শন করেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে রাজউকের চেয়ারম্যান বজলুল করিম চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
এমএইচকে/আরআই