ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায় বিএনপি’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৭
‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায় বিএনপি’ বক্তব্য রাখছেন ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুকে পুঁজি করে বিএনপি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ অায়োজিত অালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, বাঙালি, অবাঙালি, মগ, মুরং, চাকমা সবাই মিলে আমরা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি তা মিয়ানমারের জন্য যেমন উদাহরণ, তেমনি সমগ্র পৃথিবীর জন্যও অনন্য উদাহরণ।

কিন্তু বাংলাদেশে একটি দল সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করে। সেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও লালন পালনকারী হচ্ছে বিএনপি এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। তিনি শুধু জঙ্গিবাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দাতা নন, তিনি সাম্প্রদায়িক অপশক্তিরও প্রধান আশ্রয় দাতা।

সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যেখানে জননেত্রী শেখ হাসিনা অার্ত পীড়িত রোহিঙ্গাদের প্রতি সম্মানার্থে নেতা-কর্মীদের বারণ করেছেন কেক না কাটার জন্য, সেখানে খালেদা জিয়া ৫টা জন্মদিন পালন করেন। আমি অনুরোধ জানাবো লন্ডন থেকে দেশে আসার আগে জন্ম তারিখটা ঠিক করে নেবেন। কারণ একটি দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পাঁচটি জন্মতারিখ। এটি বিএনপির জন্য যেমন লজ্জার, বেগম খালেদা জিয়ার জন্যও লজ্জার, রাজনীতিবিদের জন্যও লজ্জার। অন্য কোন দেশের রাজনীতিবিদের যদি এমন পাচঁটি জন্মতারিখ থাকতো তাহলে তাকে রাজনীতিতে অযোগ্য ঘোষণা করা হতো, এমনকি তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতো। খালেদা জিয়া ভাগ্যবান তার বিরুদ্ধে এখনো ফৌজদারি মামলা হয় নাই।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা যেখানে এখনো রয়েছে সেখানে খালেদা জিয়া তার নাতি-নাতনিদের ছেড়ে বাংলাদেশে আসতে পারছেন না। তিনি জনগণের নেত্রী নন। তার কাছে দেশের মানুষ বড় নয়, তার কাছে বড় নাতি নাতনি। আর অন্য দিকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের দেখতে গিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের জন্য সকল কিছুর ব্যবস্থা করেছেন। এটিই হলো শেখ হাসিনার সাথে খালেদা জিয়ার পার্থক্য।

সংগঠনের সভাপতি লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- সাবেক চিফ হুইপ সাগুপ্তা ইয়াছমিন এমিলি, সংসদ সদস্য সানজিদা রহমান, আওয়ামী যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ফজলুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাছান ইমাম, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ