ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

এমপি রানার জামিন স্থগিত থাকবে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
এমপি রানার জামিন স্থগিত থাকবে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত

ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে করা রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত  মুলতবি  করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

ফলে চেম্বার আদালতের দেওয়া জামিনের স্থগিতাদেশ আরও বাড়লো এবং ওইদিন পর্যন্ত তিনি জামিন পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রোববার (১৫ অক্টোবর) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এমপি রানার পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ।

কয়েক দফা ব্যর্থ হওয়ার পর গত ১৩ এপ্রিল জামিন মেলে এমপি রানার। বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ'র হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে গত ১৮ এপ্রিল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ০৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে পাঠিয়ে একই দিন শুনানির দিন ধার্য করেন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত। এর আগে ১৬ এপ্রিল তিনদিনের জন্য জামিন স্থগিত করে ১৮ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন চেম্বার আদালত।

০৮ মে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ আবেদনটির শুনানি চারমাসের জন্য মুলতবি ও ছয়মাসের মধ্যে এ মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। এরপর আপিল  বিভাগে কয়েকদফা জামিন স্থগিত নিয়ে শুনানি মুলতবি করা হয়।      

আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এমপি রানা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালত।

বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।

পরে আবারও জামিনের আবেদন জানালে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালত নামঞ্জুর করেন।
বিচারিক আদালতে নাকচের পর হাইকোর্টে রানার জামিনের আবেদন জানানো হয়। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হক এবং ২৮ নভেম্বর সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের বেঞ্চ এ আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। ০৯ অক্টোবর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চও এ আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।

গত ১৮ জানুয়ারি বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমপি রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। গত ৩০ মার্চ তার জামিন প্রশ্নে রুলটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এ মামলায় গত ০৩ ফেব্রুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।   গত ০৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবুল মনসুর মিয়ার আদালত দণ্ডবিধির ৩০২/ ১২০/৩৪ ধারায় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন।

আগামী ১৮ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ধার্য করা হয়েছে। এ মামলায় ২৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন আসামিদের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ