বাংলানিউজকে মোবাইলফোনে সাইফুর রহমান রনি জানান, আমি শুনেছি নিহত নাহিদ আলম মাহির দীর্ঘদিন থেকে খেলাধুলা সক্রান্ত বিরোধ ছিল তার সহপাঠীদের সঙ্গে। সেই বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য নাহিদ বড় ভাই হিসেবে শাহবাবকে ডেকে নিয়ে যায়।
এদিকে নিহত নাহিদের মামা, গোলাম ইমরান আলী বাংলানিউজকে জানান, তার ভাগ্নে প্রাইভেট পড়তে শহরের ‘মেন্টরস একাডেমি’তে গিয়েছিলো। সে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কি-না তিনি জানেন না। তবে নিহত শাহবাবের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিলো।
জানা গেছে, নিহত নাহিদ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী না হলেও সে শাহবাবের সঙ্গে গ্রুপভিত্তিক ছাত্রলীগের রাজনীতি করতো।
শাহবাব রহমানের একাধিক বন্ধু জানান, শাহবাব ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলো।
শাহবাব পৌর মেয়র ফজলুর রহমান গ্রুপের রাজনীতি করত। দীর্ঘদিন থেকে একই গ্রুপের কয়েক নেতা-কর্মীর সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। তারাই মূলতঃ তাকে হত্যা করেছে। এটা কোনো স্বাভাবিক হত্যাকাণ্ড নয়।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহম্মদ বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাস্থল পুলিশ চিহ্নিত করে রেখেছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য শহরে বিশেষ অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭
এএটি/এমএইউ/