শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বিএনপি-জামায়াত এখনো বেরিয়ে আসতে পারেনি।
ডিএনসিসি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে উদ্দেশ্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এমন একজনকে মনোনয়ন দিয়েছে, যিনি অর্থ পাচারকারী এবং তার মা, বাবা, ভাই সবাই অর্থ পাচারকারী। সবার নাম পানামা পেপারসে উঠে এসেছে। (বিএনপি চেয়ারপারসন) খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকো, তাবিথ আউয়াল, তাবিথ আউয়ালের বাবা আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং তার মা-- সবাই মিলে অর্থপাচার করেছেন। অর্থাৎ সব অর্থপাচারকারীদের একজোট। বাংলাদেশের মানুষ যখন অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তখন বিএনপি বুঝতে পেরে মামলার মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের দল থেকে শুধু মেয়র প্রার্থী নয়, কাউন্সিলর প্রার্থীদের নামও চূড়ান্ত করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে সকালে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছিল মেয়র প্রার্থী এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ঘোষণার জন্য। আদালতের রায়ের কারণে যখন নির্বাচন স্থগিত হলো, তখন সে নামগুলো ঘোষণা করা হয়নি। বিএনপি কিন্তু মেয়র প্রার্থী ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি। সুতরাং এটি বিএনপিরই ষড়যন্ত্র।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ মুখপাত্র বলেন, মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খালেদা জিয়া সেদিন আদালতে হাজির না হওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন। তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আপনি দরখাস্ত দিয়ে সময় প্রার্থনা করুন, তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা অাপত্তি করবো না। তবে আপনি না এলেও মামলা চলবে। মামলা চলবে বলায় তিনি স্ব-ইচ্ছায় গিয়ে হাজির হয়ে গেলেন। প্রকৃতপক্ষে খালেদা জিয়াই আদালতের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে চান।
‘এখন নির্বাচন হলে বিএনপি ৮০ শতাংশ ভোট পাবে’- মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ৮০ শতাংশ ভোট কখনোই পায়নি। তাহলে মনে হয় বিএনপিকে সবাই পেট্রোল বোমার ভয়ে ভোট দেবে। এই ধরনের কথা বলে দয়া করে নিজেদের হাস্যস্পদ করবেন না।
‘সাম্প্রতিক বিভিন্ন জরিপে বেরিয়ে এসেছে- এখন নির্বাচন হলে বিএনপিকে ৮ শতাংশ মানুষ ভোট দেবে। সেটিকে মির্জা ফখরুল বলে বসলেন ৮০ শতাংশ। আমি এতোদিন মনে করতাম ফখরুলের মতিভ্রম হয়েছে কি-না। কিন্তু এই বক্তব্যের মাধ্যমে আমার সন্দেহ ঘনীভূত হয়নি, বরং আমার সেই সন্দেহ দূর হয়ে গেছে। অর্থাৎ আমি পরিষ্কার হয়েছি, মির্জা ফখরুলের আসলেই চিকিৎসা দরকার। ’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম আতিক, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, জানুযারি ১৯, ২০১৮
এইচএ/