রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই ছাত্রলীগ নেতা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়।
এরআগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে একই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে বহিষ্কৃত অপর ছাত্রলীগ নেতা তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কাননের বহিষ্কারাদেশও প্রত্যাহার করা হয়।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার ওপর আরোপিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হলো।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে, কেন বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে বারবার ফোন দিলেও, তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু এখন তিনি দলীয় শৃঙ্খলা বহির্ভূত আর কোনো কাজ করবেন না বলে আমাদের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে আমরা আবেদন করেছিলাম। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আবেদনটি বিবেচনাধীন রেখেছিল। এবার তিনি নিজে আবেদন করায় তার প্রতিশ্রুতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ’
২০১৭ সালের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাস ভাঙচুরের ঘটনার ছবি তুলতে গেলে মারধরের শিকার হন ডেইলি স্টারের রাবি প্রতিনিধি আরাফাত রহমান। এদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিক মারধরের দায়ে শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কাননকে বহিষ্কার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮
টিএ