বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট আয়োজিত ‘খালেদা জিয়া ও তার পরিবারকর্তৃক আত্মসাৎকৃত ও বিদেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার করা হোক’ শীর্ষক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শুধুমাত্র দুর্নীতি মামলার বিচার করলে হবে না।
১৯৯৩ সালে খালেদা জিয়া এতিমখানার নামে খোলা অ্যাকাউন্টের দুর্নীতি মামলা আওয়ামী লীগ সরকার করেনি উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ মামলা এবং অন্যগুলো খালেদা জিয়ার পছন্দের ফখরুদ্দিন, মঈন উদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার করেছিলো। সেই এতিমখানার ঠিকানা হচ্ছে মঈনুল রোড, অ্যাকাউন্টের ঠিকানা হচ্ছে মঈনুল রোড, আর স্বাক্ষরকারী হচ্ছেন খালেদা জিয়া। সেই অ্যাকাউন্টে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা কুয়েতের আমিরের কাছ থেকে আসে ১৯৯৩ সালে। তার দুই বছর পর খালেদা জিয়ার স্বাক্ষরে টাকা তুলে তারেক ও কোকোর অ্যাকাউন্টে রাখা হয় এবং তাদের নামে বগুড়ায় জমি কেনা হয়। সুতরাং এখানে দুর্নীতি হয়েছে। দশ বছর পর এ মামলার রায় হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আপনারা তারেক জিয়া এবং খালেদা জিয়ার কারণে যেভাবে গত নির্বাচন বর্জন করেছিলেন এবার যদি একই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তাহলে বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। সুতরাং আপনাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বিএনপি বড় নাকি খালেদা জিয়া।
আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু আগামীকাল নয় আমরা জানতে পেরেছি তারা দেশে চোরাগোপ্তা হামলা এবং নেতাদের উপর হামলাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যার মহড়া ক’দিন আগে তারা হাইকোর্টের সামনে দিয়েছে। সুতরাং বৃহস্পতিবার শুধু সর্তক দৃষ্টি রাখলে হবে না, আমাদের আগামী কিছুদিন সর্তক দৃষ্টি রাখতে হবে এবং এই সন্ত্রাসী ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দুর্নীতিবাজদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, সংগঠনের সহ-সভাপতি সারাউদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
পিআর/জেডএস