পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়েছে। চলছে টহল।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিরপুর-১০ নম্বর এলাকা থেকে তালতলা-আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, মিন্টো রোড, মৎস্য ভবন, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, কদম ফোয়ারা, সচিবালয়ের সামনের রাস্তা এবং জিরো পয়েন্ট এলাকায় দেখা গেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক পাহারা।
মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের নেতৃত্বে অবস্থানের কথা জানা যায়। সেখানে রয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আগারগাঁওয়ে বিমান বাহিনী জাদুঘরের পাশে পুলিশের একটি তল্লাশি চৌকিতে সন্দেহভাজনদের গাড়ি, ব্যাগ তল্লাশি করতে দেখা যায়। শেওড়াপাড়া এলাকায়ও অবস্থান দেখা যায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের।
ফার্মগেটে পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত হয়েছেন সকাল ১০টার আগেই। মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে উপস্থিত রয়েছেন নেতা-কর্মীরা।
কারওয়ান বাজার মোড়ে পুলিশের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ছাড়াও অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল নিয়ে প্রস্তুত থাকতে দেখা যায় আইন-শৃঙ্খল বাহিনীকে।
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ ও কদম ফোয়ারা এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাবের উপস্থিত রয়েছে। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীরাও জড়ো হয়েছেন। এ পথ ধরেই মামলার রায় শুনতে বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এদিকে, আতঙ্কের কারণে রাজধানীর অধিকাংশ স্থানে সড়কে যান চলাচল সীমিত হয়ে আসছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে আতঙ্ক না হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সকালে হাইকোর্টের কদমফোয়ারা এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বলেন, ভয়ের বা আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। সবখানেই প্রচুর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছেন। কোনো শঙ্কা নেই। কাউকে কোনো অপতৎপরতা চালাতে দেওয়া হবে না।
র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বকশীবাজারে আদালত চত্বর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ইন্টারনেট থেকে একটি গোষ্ঠী জনগণের মধ্যে অপপ্রচার করছে। আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন র্যাব প্রধানও।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমআইএইচ/এইচএ/