২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) তিনি এসব কথা বলেন।
দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শহীদ ডা. কাইসার রহমান মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরা আওয়ামী লীগকে আরও চাঙা করতে চাই। জনসভাকে ঘিরে যে উত্তাল তরঙ্গের সৃষ্টি হবে তার ওপর দিয়েই আমরা আগামী সিটি ও জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।
নানক বলেন, এখানে যারা বক্তৃতা করলেন, তাদের মুখ থেকে কোনো ফিরিস্তি শুনলাম না যে, শেখ হাসিনা রাজশাহীতে এই দিয়েছেন, ওই দিয়েছেন। উল্টো আমরা কী করি? ৯ বছর হয়ে গেল, আর ৮ মাস বাকি নির্বাচনের। সেই সময় আমরা বিরাট দাবি করি। ভাবখানা হলো-কিচ্ছু করি নাই, এই দাবিগুলো যদি পূরণ হয় তাহলে ভোট পাব, না হলে পাব না। পেছনে যা করলাম সব ডিলিট। এগুলো করা যাবেনা। এটি করলে দলের ক্ষতি হবে।
তিনি বলেন, নতুন কিছু করার সময় আর নাই। আমরা যা করেছি, মানুষের জন্য করেছি। শেখ হাসিনা যা করেছেন, দেশের জন্য করেছেন। এই দিয়েই আমরা মানুষের কাছে ম্যান্ডেট নিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী আসছেন। এ জন্য উত্তাল তরঙ্গের তৈরি করতে হবে। এ জনসভা যেন সব মানুষের জনসভায় পরিণত হয় তেমন একটি পরিবেশের সৃষ্টি করতে হবে।
এই জনসভাকে সামনে রেখে রাজশাহীকে নতুন করে সাজাতে হবে। প্রত্যেক উপজেলায় ব্যানার ফেস্টুন হতে হবে। মাইকিং করেন জনসভার। ব্যানার লাগান। সেখানে এমপি সাহেবের নামে লাগান। যাকে দেখতে চান, মানে ‘অমুককে দেখতে চাই এমপি হিসেবে’, তারাও লাগান। এবার দেখি কতো লাগাতে পারেন।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রাজশাহীর এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, আয়েন উদ্দিন, কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এমপি গোলাম মোস্তফা, গোলাম রাব্বানী, আবদুল ওয়াদুদ, নাটোরের এমপি আবুল কালাম আজাদ, আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
এসএস/এসএইচ