এরমধ্যে আবুল কাশেম ও আকাশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এজাহারে কাশেমকে রাসেল হত্যার মূল পরিকল্পনা ও নির্দেশদাতাদের মধ্যে একজন বলা হয়েছে।
গ্রেফতার আবুল কাশেম ও আকাশকে মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) বিকেলে খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের আমলি আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আকাশের বয়স কম হওয়ায় তাকে গাজীপুর শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আকাশ নতুন কুঁড়ি হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। অন্যদিকে আগে থেকে কারাগারে রয়েছে জাবেদ। আদালত ৮ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
গ্রেফতার ৩ জনের মধ্যে আবুল কাশেম বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। এরমধ্যে ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম পিসি হত্যাকাণ্ড, ২০১০ সালে খাগড়াছড়িতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় সান্ধ্য আইন ভঙ্গের অভিযোগে চার্জশিটভুক্ত আসামি এবং বন আইনসহ আরও বেশ কয়েকটি মামলারও আসামি বলে জানা যায়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদত হোসেন টিটু বাংলানিউজকে বলেন, আমরা রাসেল হত্যাকাণ্ডের রহস্য প্রায় উদঘাটন করে ফেলেছি। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে।
গত শনিবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি জেলা শহরের মিলনপুর ব্রীজ এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরতর আহত হন ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত রাসেলের মা খোদেজা বেগম বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম ও জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয় সম্পাদক দিদারুল আলমসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তিনি।
ঘটনার প্রতিবাদ বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। বিক্ষোভ থেকে পৌরসভার মেয়র ও তার সহযোগিদের দায়ী করে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৮
জিপি