বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছাত্রলীগের প্রধান কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এ ঘোষণা দেন।
ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী মে মাসের ১১ ও ১২ তারিখে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান বলেন, এ সংগঠনের ১০৯টি সাংগঠনিক ইউনিট, ৫০টি আন্তর্জাতিক ইউনিট, অর্ধ সহস্র উপজেলা ইউনিট এবং ৪ হাজার ৫৫০টি ইউনিয়ন ইউনিট রয়েছে। ২০১৫ সালের জুলাইতে বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় সবগুলো আংশিক কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ইউনিটে কমিটি গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, মোট ৬৮টি জেলা কমিটি গঠন করেছেন। বেশ কিছু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেগুলো সম্মেলনের আগে শেষ করা হবে। গঠনতন্ত্র অনুসারে সম্মেলন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি থাকবে। এরপরও যেকোনো ক্ষেত্রে নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
২০১৫ সালের ২৬ ও ২৭ জুলাই সাইফুর রহমানকে সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। গণতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ দুই বছর। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে এই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার কথা ছিলো।
মেয়াদপূর্তির ছয় মাসেও সম্মেলন না করায় গত ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগকে সম্মেলন করে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গত ৩১ মার্চ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কড়া নির্দেশ আসে। সম্মেলন করতে হবে মে মাসের মধ্যেই। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ যেন না পার হয়, সেটিও জানিয়ে দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় আগামী ৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৯ এপ্রিল জেলা, মহানগর ও উপজেলা-থানায় আনন্দ র্যালির কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮ আপডিট সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা
এসকেবি/জিপি