ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সাবেক সহ-সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সাবেক সহ-সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: লিফটে ওঠা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) নতুন ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এতে রুহুল আমিন ছাড়াও দুইজন আহত হয়েছেন।

তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুহুল আমিনের বড়ভাই ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহিমের শাশুড়ী ঢামেকে মারা গেলে মরদেহ নিতে আসেন রুহুল আমিন, আব্দুর রহিম, তার স্ত্রী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রানা।

সেসময় লিফটে চড়ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের বড় ভাই ও ভাবী। তাদের সঙ্গে সনজিতের কয়েকজন অনুসারীও লিফটে ঢোকেন। তখন রুহুল আমিন লিফট থেকে সনজিতের অনুসারীদের কয়েকজনকে নেমে তাদেরও ওঠার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন। এ নিয়ে সনজিতের ভাইয়ের সঙ্গে রুহুলের কথা কাটাকাটি হয়। এর ৪০ মিনিট পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের শতাধিক নেতাকর্মী ঢাকা মেডিকেল কলেজের নতুন ভবনের ৮ তলায় উঠে রুহুল আমিনকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। মারতে মারতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রুহুলকে ৮ তলা থেকে দ্বিতীয় তলায় নিয়ে আসেন। এসময় হাসপাতালে আসা রোগী ও দর্শনার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।  

এদিকে ওই এলাকায় থাকা ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কলেজ শাখার দুই ছাত্রলীগ কর্মীকেও মারধর করা হয়েছে। তারা হলেন আলিয়া মাদ্রাসার ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাজী শাওন ও ঢাকা কলেজের ২০১২-১৩ সেশনের ম্যানেজমেন্টের শিক্ষার্থী মমিনুর রহমান রকি।  

কাজী শাওন বাংলানিউজকে ব‌লেন, রাত ১২টার একটু পরে ভাত খে‌তে বের হ‌য়ে‌ছিলাম ঢামেকের সাম‌নে। এ সময় ১৫-২০টা ছে‌লে জি‌জ্ঞেস ক‌রে কোথা থে‌কে আস‌ছি। ঢাকা আ‌লিয়া বলার সঙ্গে সঙ্গেই উপর্যুপ‌রি মারধর করে। তারা আমার মোবাইল ও মা‌নিব্যাগ নি‌য়ে যায়।

রহুল অভিযোগ করেন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের মুজাহিদ ও সোলাইমান, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ইমন, বঙ্গবন্ধু হলের শান্তসহ ২০-২৫ জন নেতাকর্মী তাদের মারধর করেছেন এবং সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিতের অনুসারী।

রুহুল আ‌মিন বাংলানিউজকে ব‌লেন, বড় ভাই‌য়ের সাম‌নে ছোট ভাই‌কে মারধর ক‌তোটা হৃদয়বিদারক। তারা দুই ঘণ্টা যাবত আমার খালার মরদেহ আট‌কে রে‌খে‌ছিল। এটা মে‌নে নেওয়া যায় না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে বলেন, রুহুল আমিন আমার ভাই ও ভাবীকে ধাক্কা দিয়েছিলেন। আমার ভাই পরিচয় দেওয়ার পরও গালি দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কর্মীরা যায়। আমি তাদের নিয়ে ক্যাম্পাসে চলে আসি।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের  কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে ফোন দেওয়া হলেও কলটি রিসিভ হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০৪১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
এসকেবি/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ