জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিকল্পধারার পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সংলাপে বসতে প্রধানমন্ত্রী রাজি রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) সচিবালয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি আন বোখতা ও জার্মানির রাষ্ট্রদূত টমাস প্রিনজের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান ওবায়দুল কাদের।
সাক্ষাতের বিষয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, তারা খুব আশাবাদী যে, সংলাপের মাধ্যমে একটি ভালো নির্বাচন হবে। নির্বাচনের সময় আচরণ বিধি তাদের জানানো হয়েছে। দুই রাষ্ট্রদূতই সংলাপের উদ্যোগকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শুধু ঐক্যফ্রন্ট বা যুক্তফ্রন্ট নয়, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অন্যান্য দলের সাথেও সংলাপে বসতে রাজি। তবে সময় একটি ব্যাপার, সিডিউলের বিষয় আছে, তবে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক। এর মধ্যে সিডিউল ঘোষণা হয়ে যাবে, প্রধানমন্ত্রীর টাইট সিডিউল রয়েছে, এর মধ্যে করতে হবে।
আগামী ১ ও ২ নভেম্বর বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিকল্পধারার সভাপতি ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বি. চৌধুরীর কাছে গণভবনে আলোচনার জন্য ডাক এসেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আলোচনা থেকে অনেক কিছুই জানা যাবে। আলোচনার কিছু নির্দিষ্ট করা নেই, যে কোন বিষয় আলোচনা হবে, প্রধানমন্ত্রী কোন প্রি-কনডিশন দেননি। ঐক্যফ্রন্ট, বিকল্পধারা প্রস্তাব দিয়েছে, তারা চিঠি পাঠিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে চিঠির জবাব দিয়ে সময় দেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, রায় প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগ দেয়নি, রায় দিয়েছেন আদালত। লিগ্যাল ম্যাটারের সাথে ডায়ালগের কী সম্পর্ক? ডায়লগ ডায়ালগের সঙ্গে চলবে। তারা এ বিষয় উত্থাপন করতে পারে না। সেহেতু কোন প্রি-কনডিশন এখানে নেই। তারা আলোচনা করতে পারে কিন্তু এ বিষয়ে তো একেবারে আদালতের বিষয়।
“ডায়ালগে তারা খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড নিয়ে আলোচনা করবেন, আলোচনার পথে কোন বাধা নেই। বিষয়টা তো এমন নয় আওয়ামী লীগ তাকে জেলে দিয়েছে, আওয়ামী লীগ তাকে মুক্তি দেবে। বিএনপিকে খালেদা জিয়ার ব্যাপারে আদালতের রায়ে লিগ্যাল ম্যাটারে যেতে হবে, এটা একেবারেই লিগ্যাল, ডায়ালগের সাথে লিগ্যাল ম্যাটারের কোন সম্পর্ক নেই। ”
সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব নিয়ে কাদের বলেন, বিষয়টা যেহেতু একটি ডায়লগের আলোচ্য বিষয়, ডায়ালগে যেটা আলোচনার সুযোগ আছে, তারে আগে কেন আমি এখন মন্তব্য করবো।
সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আমাদের দলে এ ধরনের ডায়ালগের পক্ষে ছিলাম না, এটা তো ওপেন। আমার যা বলেছি স্ট্রং ভয়েস, আমাদের নেত্রী যা সঠিক মনে করেছেন তার সঙ্গে আমরা সবাই অভিন্ন মত প্রকাশ করি। এখন আগাম কোন মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে চাই। সংবিধানের বিষয় আছে, আইন আদালতের ব্যাপার, কিছু বিষয় আছে নির্বাচন কমিশনের বিষয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপকে দলমত নির্বিশেষে বেশিরভাগ মানুষ পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮/আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এমজেএফ