শুক্রবার (৯ নভেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সাহেদের পক্ষে তার ভাই জেলা আওয়ামী লীগ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মহিদুল ইসলাম মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
এদিকে, সাহেদুল ইসলাম সাহেদের মনোনয়ন কেনার খবরে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের কেউ কেউ মিষ্টি মুখও করেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুম খাদেমুল ইসলামের অবদান মনে রেখেছেন। আমরা আশাবাদী, নেত্রী এই মরহুম নেতার সুযোগ্য পুত্র সাহেদুল ইসলাম সাহেদকে মনোনয়ন দেবেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা দুলাল সেন বলেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাহেদ উচ্চ শিক্ষিত। তিনি অবশ্যই এ অঞ্চলে শক্ত রাজনৈতিক ভিত্তি কাজে লাগিয়ে দলকে সুসংগঠিত করবেন। দলের সভাপতির কাছে আমাদের দাবি, জনগণের অনুভূতি অনুধাবন করে সাহেদকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১০ বছরে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাকর্মীদের পাশ কাটিয়ে দলের হাল ধরার নামে বিএনপির লোকদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। চাকরি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে হাইব্রিড নেতারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন। তাই আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মী হিসেবে আমরা নেতৃত্বের পরিবর্তন চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে এমএ পাস করে সাহেদ জাপানে বাংলাদেশি হাইকমিশনের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর পুনরায় তাকে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসের ডেপুটি কনসাল জেনারেল নিযুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৮
ইএআর/এসআই