শনিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন কিনে ফরম পূরণ করে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের কাছে জমা দেন।
মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পরে রুহুল আমীন বাংলানিউজকে বলেন, এমপি-মন্ত্রী হওয়ার লোভে জীবনে কখনো লবিং করতে ঢাকায় আসিনি।
রুহুল আমীন বলেন, সব জরিপ আর নেত্রীর ইচ্ছা থাকলে আমি মনোনয়ন পাবো সেই মনোবল নিয়েই শিক্ষকতার কষ্টার্জিত ৩০ হাজার টাকা দিয়ে মনোনয়ন ফরম কিনেছি। রাজনৈতিক জীবনে দলীয় অভ্যন্তরীন গ্রুপিংয়ের শিকার হয়ে বহু বঞ্চনার শিকার হয়েছি তবে মারপিট কিংবা হাঙ্গামায় যাইনি। কোন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাইনি, বাকি জীবনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমি না পেলেও নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিবেন তার পক্ষেই মাঠে থাকব।
জানা যায়, এক সময়কার মৌলবাদী এলাকা হিসেবে চিহ্নিত জামায়াত-বিএনপির অধ্যুষিত যশোরের কেশবপুরে আওয়ামী লীগের নাম উচ্চারণ করাটাও দূরহ ছিলো। সেই সময় রুহুল আমীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকতার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন । ব্যক্তিগত জীবনে ৪০ বছর শিক্ষকতার পাশাপাশি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে ১৯৯৬ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে হাল ধরেন। সেই থেকে আজ অবধি টানা ২২ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে ১৯৯২ সাল থেকে টানা ১৯ বছর উপজেলা মাধ্যমিক ও নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মচারী সমিতিতে টানা ১৯ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
ইউজি/এনটি