বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) দলের সংসদীয় বোর্ডের সভা শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সংসদীয় বোর্ডের দুই সভা করলাম। আজকের সভায়ও আমরা মনোনয়ন সংক্রান্ত কিছু কিছু বিষয় আলোচনা করেছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংসদীয় বোর্ডের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ ও দলটির সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের কাছে দেশি-বিদেশি ৫-৬ টি জরিপ রিপোর্ট আছে। এই রিপোর্টগুলো আমরা সংসদীয় বোর্ডের সদস্যরা স্টাডি করছি। এই রিপোর্টগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে, যেন জনমতের প্রতিফলন ঘটে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, জোটকে আনুমানিক হিসাব করেছি ৬৫-৭০টি আসন ছেড়ে দেবো। এটা কমতেও পারে বাড়তেও পারে। সব কিছু নির্ভর করবে বিজয়ের সম্ভাবনার ওপর। ইলেক্টেবল ক্যান্ডিডেটরাই মনোনয়ন পাবেন, এটা দলের ক্ষেত্রেও জোটের ক্ষেত্রেও। শুধু চাইলেইতো হবে না, আওয়ামী লীগেরও যাদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি তারাই পাবেন।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, প্রতিপক্ষ যদি বড় ধরনের অ্যালায়েন্সের সমীকরণে যায়, আমরাও যাবো। আজ ৩৯ দলীয় গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট এসেছিলো। তারা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে চায়। তারা মনোনয়ন চায় না, তাদের প্রার্থী তালিকা নেই।
একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনে আসবে কি-না জানতে চাওয়া হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তফ্রন্ট আসবে তাতে সন্দেহ নেই। নৌকা প্রতীক আমরা ১৪ দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছি। জোট হলেও অন্যরা যার যার প্রতীকে নির্বাচন করবে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রায় চূড়ান্ত জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শিগগির ইশতেহার প্রকাশ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
এসকে/এইচএ/