আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী ১১ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জিয়ারত করবেন।
একইদিন শেখ হাসিনা আশপাশের কয়েকটি জেলায় নির্বাচনী জনসভা ও প্রচারে অংশ নেবেন। জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে পিরোজপুর, খুলনা, যশোর, নড়াইল, বাগেরহাটসহ আরও দুই-একটি জেলা। এর পর সিলেট, কুমিল্লা, রংপুরে নির্বাচনী জনসভা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দলের সভাপতির নির্বাচনী প্রচারের কর্মসূচির খসড়া ইতোমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। কর্মসূচি অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে তিনি বিভিন্ন জেলায় প্রচারে যাবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কর্মসূচির খসড়া তৈরি হয়েছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর টুঙ্গিপাড়া থেকে প্রচার কাজ শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে দলের যারা বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তাদের অধিকাংশই প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বি এম মোজাম্মেল হক গত দুই তিন দিন ধরে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ চার নেতাকে কেন্দ্র থেকে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নেতারা শেখ হাসিনার নির্দেশে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। মনোনয়ন বাছাইয়ের পর ৭০ জনের মতো বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলো ইতোমধ্যেই তাদের অধিকাংশ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই নেতারা।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্রোহী প্রায় সবাই প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর মধ্যে দুই জনকে রাজি করানো যায়নি। আমরা দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে জানিয়েছি। তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। বিদ্রোহী প্রার্থীর সমস্যা থাকবে না।
সারা দেশে নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য কেন্দ্র থেকে দলীয় পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে। সাবেক ছাত্র নেতাসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাদের এ কাজের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হবে। নির্বাচনী প্রচার ঠিক মত হচ্ছে কিনা কোথায় কোথায় ঘাটতি রয়েছে সে বিষয়গুলো চিহ্নিত করে কেন্দ্রকে জানানো হবে এবং কেন্দ্র থেকে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভীকে আহ্বায়ক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনিকে সদস্য সচিব করে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
এসকে/এমজেএফ