এ কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাহিদের মনোনয়নের বিরোধীতায় মাঠে সরব হয়ে ওঠেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি অংশ। দলের বিভক্তি প্রকাশ্যে আসায় শিক্ষামন্ত্রীর সংকট প্রকট আকার ধারণ করে।
অবশেষে সব সমীকরণ পাশ কাটিয়ে মহাজোটের মধ্যমণি হলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিলেট-৬ আসনে মহাজোটের প্রার্থী থাকলেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী কমিটির এই সদস্য।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নাহিদকেই এ আসনে মহাজোটের শেষ ভরসা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। দলের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্রে এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অথচ একদিন আগেও এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী নিয়ে দোদুল্যমান পরিস্থিতি বহমান ছিল। মাঠেঘাটে ছিল দুই হেভিওয়েটের প্রার্থীতা নিয়ে গুঞ্জন। এলাকায় কাঙ্খিত উন্নয়ন না হওয়া ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয়তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠে টানা দুই মেয়াদে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা নাহিদের।
যে কারণে তাকে মনোনয়ন না দেওয়ার বিরোধীতায় ছিল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি বিশাল অংশ। নির্বাচন মৌসুমে বিরোধ কমাতে চেষ্টার অন্ত ছিল না নাহিদের। তাই ঢাকা ছেড়ে এলাকায় অবস্থান করেন দীর্ঘ সময়।
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নাহিদ অবশেষে মহাজোটের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর এখন ভোটের মাঠে সময় দিতে এলাকায় অবস্থান করছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) ঝটিকা সফরে সিলেটে আসলেও ফেরা হচ্ছে না তার। এখন থেকে নির্বাচন পর্যন্ত তিনি এলাকায় অবস্থান করবেন, এমনটিও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন। এমন খবরে উৎফুল্ল নেতাকর্মী সমর্থকরাও।
আর এতোদিন আলোচনায় থাকা বিএনপি ত্যাগী বিকল্প ধারায় স্থান নেওয়া শমসের মবিনের কপাল পুড়ছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বৈঠকে সামিল হন শমসের মবিন। বৈঠকের বিষয়টি শমসের মবিন নিজেই নিশ্চিত করেছেন। তবে প্রার্থীতার ব্যাপারে কথা বলেননি তিনি।
তবে মহাজোটের মনোনয়ন পেলেও এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অবশ্য বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচনী এলাকা সময় দিচ্ছেন বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৪ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
এনইউ/এমএমএস