আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বাধীন একটি দল শনিবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ সতর্কতা দেয়। পরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নানক।
জাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা মানে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। সে বিষয়ে আমরা বলেছি যে, বাংলাদেশের মানুষ আজকে নির্বাচনমুখী হয়ে গিয়েছে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মনোয়নবঞ্চিতদের যে বিক্ষোভ চলছে, সেটা মনোনয়ন বাণিজ্যের বিক্ষোভ। কাজেই এ মনোনয়ন বাণিজ্য করতে গিয়ে যারা ব্যর্থ হযেছেন, তারা শাক-দিয়ে-মাছ ঢাকার জন্য নন ইস্যুকে ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে আমরা নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক হওয়ার জন্য বলেছি। দেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে। সেই প্রত্যাশা আমরা ব্যক্ত করেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, সরকারের চাপ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেই সরকার শেখ হাসিনার সরকার নয়। শেখ হাসিনা এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জননী। কাজেই শেখ হাসিনার সরকার আজকের নির্বাচনকালীন সরকার-নির্বাচন কমিশনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ কাজ করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।
শনিবার মহাজোটের দলীয় বা জোটের মনোয়নের চূড়ান্ত তালিকা ইসিতে দেওয়া কথা ছিল। সেই তালিকা দিয়ে গেলেন কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তালিকা দেইনি। রোববার (৯ ডিসেম্বর) নাগাদ তালিকা দেবো।
কোন দলের কয়জনকে মনোনয়ন দেওয়া হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা যথাসময়ে নির্বাচন কমিশন দেওয়া হবে। তখনই আমরা জানাবো। একটু অপেক্ষা করেন।
প্রার্থীদের তালিকা কি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আবার আলাদা করে দেবেন নাকি কমিশনেই দেবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, না আমরা এখানেই দেবো।
প্রতিনিধি দলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ