শনিবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর ওই চিঠি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন দলের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
মনোনয়নবঞ্চিতদের উদ্দেশে চিঠিতে দলীয় প্রধান লিখেছেন, “সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যগণের সুচিন্তিত মতামত, তৃণমূল নেতাদের পরামর্শ এবং আমাদের সংগঠন কর্তৃক পরিচালিত একাধিক নিবিড় জরিপ কার্যক্রমের সুপারিশের ভিত্তিতে দলীয় প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয়। ”
দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উদ্দেশে চিঠিতে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের মনোনয়ন প্রদানের সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া ও সংসদীয় বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনাকে মনোনয়ন দিতে না পারায় আমি আন্তরিভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ও কল্যাণমুখী রাজনৈতিক দলে পরিণত করার কাজে আপনার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। ”
মহাজোট মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “বিএনপি-জামায়াতের হিংস্র্র থাবা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করে বাংলাদেশ টেকসই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে আমরা সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আপনার কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে আপনার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে মহাজোটকে বিজয়ী করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন। আপনার ত্যাগ, শ্রম ও আন্তরিকতা সবকিছুই আমার বিচেনায় আছে। ”
তিনি আরো উল্লেখ করেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচনে আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আবারও জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবে। সেই বিজয়ের অংশীদার হবেন আপনিও। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে নৌকা মার্কাকে পরাজিত করার সাংগঠনিক শক্তি আর কারো নেই। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ