বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যে লক্ষ্য সামনে রেখে ১৪ দল গঠিত হয়েছিল, তা এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এর প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়নি বলে জোটের শরিক দলগুলো মনে করছে।
সভা শেষে ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ও এ জোটের শরিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এসময় মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আদর্শ ও লক্ষ্যকে ধারণ করে ১৪ দল এগিয়ে যাচ্ছে। কোনো পদ-পদবি বা লঘু কারণের জন্য ১৪ দল সংগঠিত হয়নি। যতো দিন পর্যন্ত ১৪ দলের লক্ষ্য অর্জন না হবে, ততোদিন এ জোট কাজ করে যাবে। ১৪ দল পাহাড়ের মতো ঐক্যবদ্ধ আছে। দুঃসময় ও সুসময় সব সময়ই ১৪ দল শেখ হাসিনার পাশে আছে, থাকবে। চোখের মণির মতো তাকে রক্ষা করবে।
‘স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ শক্তি বিএনপি-জামায়াত আছে, যারা চক্রান্ত করে যাচ্ছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে যেকোনো সংগ্রাম ও লড়াইয়ে ১৪ দল প্রস্তুত থাকবে। ’
নাসিম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনের বিষয়। তার জন্য সরকারকে হুমকি-ধামকি দিয়ে লাভ নেই। তিনি এখন আর রাজনৈতিক ব্যক্তি নন, আদালতে দণ্ডিত।
এতে হাসানুল হক ইনু বলেন, যে ২৩ দফার ভিত্তিতে ১৪ দল গঠিত হয়েছিল, তার অনেক লক্ষ্য অর্জন হলেও কিছু কাজ বাকি আছে। এই লক্ষ্য পূরণে আমরা ধারাবাহিকভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাবো। এখনও সাম্প্রদায়িকতা বিরাজমান আছে। স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার ও তাদের দোসর বিএনপি পরাজিত হলেও এখনও চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তাই ১৪ দলের রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা আছে। এখনও বাংলাদেশ বিপদের মধ্যেই আছে। নতুন প্রেক্ষাপটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ১৪ দলকে শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা এক সঙ্গে কাজ করবো।
এদিকে, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ নাসিম। গত ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নতুন সরকার গঠনের পর এটিই প্রথম সভা ১৪ দলের।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের সভাপতি ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারিসহ জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
এসকে/টিএ