সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।
এতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রেজাওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাচ্যের অক্সেফোর্ড বলে থাকি, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আমাদের যে মেধার বিকাশ ঘটবে, সেই মেধার বিকাশের জন্য পড়াশোনার যে পরিবেশ দরকার তা আমরা প্রথম বর্ষ থেকে পাই না। আমাদের পড়ার জন্য সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে লাইন ধরতে হয়। হল ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সিট বাড়ানোর জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান তিনি।
গোলাম রব্বানী বলেন, ছাত্ররা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে বসার জায়গা নিশ্চিত করার জন্য। অনতিবিলম্বে এ সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান তিনি।
সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লাইব্রেরিকে শিক্ষার্থীর মেধা চর্চা, জ্ঞান চর্চার একটি কারখানা বলা যায়। সেই জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে জায়গা রয়েছে সেটি অনেক অপ্রতুল। কোনো রকম অটোমেশনের ব্যবস্থা নেই। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলি। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল লাইব্রেরি হোক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ছাত্রের অনুপাতে আসন সংখ্যা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে ঢাবিতে আসন সংখ্যা মাত্র ৬৬০টি। শিক্ষার্থীর অনুপাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিটি আধুনিকায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
এসকেবি/ওএইচ/