বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ভোরে হেঁটে একাই তিনি বাড়ি ফিরেন। তবে রাত ৩টার দিকে কে বা কারা মাইক্রোবাসে তাকে বাড়ির আশে পাশে নামিয়ে দিয়ে যায়।
এরআগে গত ১ ফেব্রুয়ারি র্যাব পরিচয়ে সাদা পোশাকে মিলনকে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ, হরতাল করে তার সমর্থকরা। মিলন শহরতলীর তালতলা হাফরাস্তা এলাকার এমদাদুল হক মিয়াজির ছেলে।
মিলনের বাবা এমদাদুল বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি সাদা পোশাকধারী কিছু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। সেসময় মিলনের সন্ধানের দাবিতে এলাকাবাসী সপ্তাহজুড়ে মহাসড়ক অবরোধ, হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
তিনি বলেন, গত রাতে ৩টার দিকে বাড়ির আশ-পাশে কে বা কারা তাকে রেখে যায়। পরে ভোরের দিকে মিলন নিজেই হেঁটে বাসায় ফিরে আসে। কারা আমার ছেলেকে এ তিন মাস ২৩ দিন বন্দি করে রেখেছে, সে বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
তবে ফিরে আসার পর থেকে উৎসুক জনতার সঙ্গে কুশল বিনিময় ও সাক্ষাৎ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি জামিল হোসেন মিলন।
এদিকে যুবলীগের এ নেতা বাড়ি ফিরে আসার পর তাকে এক নজর দেখতে বাড়িতে ভিড় করছে উৎসুক জনতা। নিখোঁজের সময় তিনি আওয়ামী লীগ থেকে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তবে মিলনের নামে সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, মাদক, সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরের এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ অন্তত ১৩টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
জিপি