আমাদের এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন আশাতীত হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শৃঙ্খলা আনলে সব সুন্দরভাবে সাজানো যেতো। একইসঙ্গে রাজনীতিবিদদের পরস্পরের প্রতি ‘শব্দবোমা’ নিক্ষেপে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (০৩ জুন) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের আচরণগত পরিবর্তন দরকার। কথাবার্তায় আমরা রাজনীতিকরা পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষমূলক শব্দবোমা নিক্ষেপ করি, সেটা পরিবেশ নষ্ট করছে। আমরা বিরোধীদলীয় নেতাদের কাছে আহ্বান করতে চাই বিদ্বেষমূলক শব্দবোমা ব্যবহারে আরো সচেতন হতে হবে। তা না হলে আমাদের রাজনীতিতে পরস্পরের প্রতি সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এজন্য ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যান্ডিং নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রে ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। অনেক কঠিন অবস্থানও নরমে চলে আসে। গরম গরম কথা, গরম গরম আচরণ অনেক বিষয়ে আমাদের নিজেদের মধ্য সম্পর্কের অবনতি ঘটায়। আমাদের কথাবার্তা, বক্তৃতার ভাষা যদি নমনীয় করি অন্তত সৌজন্যবোধটা রাজনীতিতে থাকে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করি বলে বিরোধীদলের কারো জানাযায় যাবো না, এটা হয় না। এসব বিষয়গুলোতে পরিবর্তন যদি আমরা আনতে পারি তাহলে বড় ধরনের পরিবর্তন আমরা আনতে পারবো। আমি অসুস্থ হয়েছি, বিরোধীদলের নেতারা আমাকে দেখতে হাসপাতাল গেছেন। এটা একটা শুভদিক। এগুলো এক তরফা হয় না। আগামীতে চেস্টা করবো যাতে অন্তত সামাজিক সৌজন্যতা বজায় থাকে। এজন্য আগামীতে সামাজিক সম্পর্কের আরো গুরুত্ব দিতে হবে।
ঈদের আগে খালেদার মুক্তি বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বন্দিত্ব বা রাজনৈতিক দল হিসেবে স্পেস পাওয়া তাদের অধিকার। বিরোধীদল হিসেবে খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য ইস্যুতে সরকারের উপর তারা কি কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছে। সরকারের ব্যর্থতা তারা বলে, কিন্তু বিরোধীদল হিসাবে এখানে তাদের চরম ব্যর্থতা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশে তারা বড় দল, খালেদা জিয়া একাধিকবারের প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক দল হিসেবে তিনি যে দলে ছিলেন, সেই দল এমন কোনো উত্তাপ কি সৃষ্টি করেছে যেটা সরকার ও আদালতের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এই প্রশ্নের উত্তর আমি তাদের কাছে পাইনি। আদালত তাকে শাস্তি দিয়েছেন, আদালতই তাকে মুক্তি দেবেন।
তিনি বলেন, বিএনপি গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা বাদ দিয়ে নিজেদেরকে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাদ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ৭ ধারা বাদ দেওয়া একটি অনৈতিক কাজ। রাজনৈতিক দল হিসেবে এ বিষয়ে তাদের অনেক প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হবে। গত নির্বাচনে তার জবাব তারা পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস