সোমবার (২৩ ঘণ্টা) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পাশাপাশি বর্তমান সহ-সভাপতি হাসিবুল হাসান মিন্টুকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানায়, ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর ইসহাক খলিল বাবুকে সভাপতি ও আহসানুল ইসলাম রিমনকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় কমিটি। কিন্তু এক বছরের অনুমোদিত কমিটি পৌনে ২ বছর পেরিয়ে গেলেও ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেদের মত বিরোধের কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি। কিন্তু গত এক মাসের ব্যবধানে কোনো সম্মেলন ছাড়া নরসিংদী সরকারি কলেজ শাখা, মাধবদী শহর শাখা ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তবে নরসিংদী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদনের স্বাক্ষরটি তার নয় দাবি করে সদর মডেল থানায় সাধারণ ডাইরি করেন বাবু।
এরই মধ্যে সোমবার বাবুর একক স্বাক্ষরে আগে ঘোষিত তিনটি ছাত্রলীগের ইউনিটের পাল্টা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে এলে সোমবার রাতেই ইসহাক খলিল বাবুকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল ইসলাম রিমন বাংলানিউজকে বলেন, বাবু ভাই নিঃসন্দেহে ভালো মানুষ ছিলেন। কিন্তু কেন এমন সংগঠন বিরোধী কাজ করেছেন তা আমার বোধগম্য নয়। কেন্দ্রীয় নেতারা এখন নতুন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সবার মতামতের ভিক্তিতে জেলা ও সব উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হবে।
অব্যাহতি পাওয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসহাক খলিল বাবু বাংলানিউজকে বলেন, রিমন আমার সঙ্গে জালিয়াতি করে একের পর এক কমিটি দিচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়ে আমাকে পাল্টা কমিটি দিতে হয়েছে। আমি নরসিংদীবাসীর পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো।
জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসিবুল হাসান মিন্টু বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগকে একটি শক্তিশালী ইউনিটে রূপান্তরিত করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
এসএইচ