সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বাংলানিউজকে জানান, অধ্যক্ষ মামলা দেওয়ার পর আশরাফুজ্জামান তাজ ও তার সহযোগী ছাত্রলীগ নেতা আল মামুনকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে নিজ কক্ষে অফিসিয়াল কাজ করছিলেন। এ সময় এক যুবক এসে তাকে সালাম দিয়ে একটু রুমের বাইরে আসতে বলেন। বাইরে আসার পরপরই তার সামনে আরেকটি ছেলেকে তারা বেদম মারধর করতে থাকেন।
বিষয়টি কী তা জানতে চাইলে তারা জানায়, তিনি সাতক্ষীরা থেকে একটি মেয়েকে এনে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে অনৈতিক আচরণ করেছেন। অধ্যক্ষ ছেলেটিকে মারধর না করে তার কাছে দিতে বলেন।
এ সময় তিনি তার অভিভাবকদের ফোন করে ডেকে আনেন। একই সময়ে সেখানে পুলিশও পৌঁছায়। পরে পুলিশ থানায় এনে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় ছেলেটিকে।
অধ্যক্ষ জানান, ছেলেটিকে তাদের হাতে কেনো দেওয়া হলো না এই কৈফিয়ত তলব করে তার ওপর হামলা করে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আশরাফুজ্জামান তাজ ও তার সহযোগী শাওন, আল মামুন ও সাইফুল্লাহসহ ৭-৮ জন। এ সময় তারা তার কক্ষ, জানালার গ্লাস ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করেন। এভাবে পরপর তিনবার তিনি এই হামলার শিকার হন। তাকে চড় কিল ঘুষি মেরে ফেলে দেওয়া হয়।
তিনি জানান, সহকর্মী শিক্ষকরা হামলাকারীদের কবল থেকে তাকে রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সহকর্মীরাও কমবেশি লাঞ্ছিত হন। এ সময় আশরাফুজ্জামান তাজ বলেন, এখানে চাকরি করতে হলে আমাদের কথা মতো চলতে হবে। না হলে সাইজ করে দেবো।
আক্ষেপ করে অধ্যক্ষ বলেন, এসব সন্তানতুল্য ছেলেদের হাতে বারবার লাঞ্ছিত হয়ে আমরা যেনো মরে গেছি। বিষয়টি তিনি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের নামোল্লেখ করে আশাশুনি থানায় তিনি একটি মামলা দায়ের করেছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান বলেন, তাজ ও অন্যদের বিরদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
এএটি