শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি এ কথা বলেছেন বলে একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে জানায়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের সর্তক করে বলেছেন, কোনো নেতার কোনো ক্যাডার বাহিনী থাকা চলবে না।
ক্যাডার বাহিনী পুষলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে দিয়ে কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ক্যাডার পলিটিক্স বাদ দিতে হবে। তা না হলে যেভাবে সন্ত্রাস, জঙ্গি, মাদক দমন করা হচ্ছে, সেভাবে ক্যাডার বাহিনী দমন করা হবে।
এর আগে বৈঠকের শুরুতে সূচনা বক্তব্যেও আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের নেতাকর্মীদের জনগণের আস্থা-বিশ্বাস ধরে রাখতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে বলেন।
সূচনা বক্তব্যে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের ওপর মানুষের বিশ্বাস-আস্থা ধরে রাখতে হবে। মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যেসব নেতাকর্মী আছেন, তাদের প্রত্যেককে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।
এক্ষেত্রে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। এই কথাটা আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে মনে রাখতে হবে এবং সেভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দায়িত্বশীল দল হিসেবে যখনই ক্ষমতায় এসেছে, জনগণের জন্য কাজ করেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে এটি জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। তাই এই সংগঠনের প্রত্যেককে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে হবে। সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সে কথা মাথায় রেখে সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সুসংগঠিত করে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, নিয়মিতভাবে যাতে আমাদের জাতীয় সম্মেলন হয়, সেজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রায় সব সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন>> আওয়ামী লীগের সম্মেলন ২০-২১ ডিসেম্বর
বাংলাদেশ সময়: ০২১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
এমইউএম/এসকে/টিএ