আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান, দল ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতাকর্মীর কারণে আওয়ামী লীগের অর্জন নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি দলের শৃঙ্খলাও ভেঙে পড়ছে।
নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের শৃঙ্খলা যেন নষ্ট না হয় সেজন্য দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নেতাকর্মীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছেন কার কার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়ম ও শঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অন্য সহযোগী সংগঠনে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংগঠনিক ব্যবস্থা হিসেবে যারা পদে আছে তাদেরকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এমনকি প্রয়োজনে কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কোনো সময় এই অভিযুক্তদেরকে গ্রেফতারও করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এই বিষয়গুলো নিয়ে গত কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত হয় বলে আওয়ামী লীগের ওই নেতারা জানান।
এছাড়া উপজেলা নির্বাচনে দলের বিদ্রোহীদের শোকজ দেওয়া হয়েছে। এরা শোকজের জবাব দিলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাস্তি হিসেবে দলের পদ হারানোসহ দল থেকে বহিস্কারও হতে পারেন। আবার এদের পেছনে যারা মদদ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই মদদদাতার তালিকায় এমপি, মন্ত্রীও রয়েছেন।
বিদ্রোহীদের জবাবের মধ্যেও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে, কারা কারা তাদের সঙ্গে ছিল। এর পর যাচাই করে মদদদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যেও এসব বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। তিনি সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, দলের যত বড় নেতাই হোক না কেন, অপকর্ম করে কেউ পার পাবে না। যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেছে তারা কেউই ছাড় পাবে না। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে, অনেকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের নেতাকর্মীদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজস্ব সংস্থার প্রতিবেদন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বাংলানিউজকে বলেন, কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা তদন্ত করে সাংগঠনকি এবং প্রচলতি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এ ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে আওয়ামী লীগের হোক আর সহযোগী সংগঠনের হোক। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে সে দলের পদ হারাবে, সাংগঠনিক শাস্তি পাবে। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলতি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
এসকে/এইচএডি