শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল গণি ঢালী (লিমন) ও সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ আলী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।
বিলুপ্ত ঘোষিত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক তিনটি উপজেলা হলো-কিশোরগঞ্জ সদর, পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদী উপজেলা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা, পাকুন্দিয়া উপজেলা এবং কটিয়াদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষে ও নতুন কমিটি গঠন করার জন্য ইউনিট সমূহের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হল।
এদিকে, কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নিয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত উদ্দিন বচন বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলা কমিটিগুলো জেলা কমিটির নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এভাবে কমিটি বিলুপ্ত করতে পারেন না। জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটি একই প্যাডে একই সঙ্গে তখনকার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করেছিলেন। জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বেচ্ছাচারিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এভাবে কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা মেনে নেওয়া হবে না।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ আলী বাংলানিউজকে বলেন, তখনকার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে একই সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগ ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। বিষয়টি সবাই জানে। তবে জেলা ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে উপজেলা ছাত্রলীগ হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করতে পারেন।
কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করায় জেলা ছাত্রলীগ ও সদর উপজেলা ছাত্রীগের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এনিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তবে এ নিয়ে সরাসরি কেউ মুখ খুলছেন না। ছাত্রলীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা এ নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এনটি