মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ওই ফলকে এই চিত্র দেখা যায়। তবে এটি কে বা কারা করেছে সে সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নিরাপত্তাকর্মী বাংলানিউজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। সেখানে ফলকের মধ্যে ছাত্রলীগ ব্যানারটা লাগানো হয় প্রায় দু’বছর আগে। গতকাল সোমবার (১৪ অক্টোবর) হয়তো ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এটা কেউ মুছে থাকতে পারে।
এ নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে আলোচনা তৈরি হলেও বক্তব্য দিতে চায়নি কোনো পক্ষ।
একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গত ৬ অক্টোবর দিনগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় ৭ অক্টোবর ভোর থেকে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে করে। তাদের ১০ দফা দাবির মধ্যে তৃতীয় দফা দাবি ছিল, বুয়েটে সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে সব হল থেকে অবৈধ ছাত্র উৎখাত করতে হবে। অবৈধভাবে হলের সিট দখলকারীদের উৎখাত করতে হবে। সাংগঠনিক ছাত্র সংগঠনগুলোর অফিস রুম সিলগালা করতে হবে। সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পর ভবিষ্যতে কেউ যদি এ রকম সাংগঠনিক কার্যক্রমে জড়িত হয় কিংবা কোনো রকম ছাত্র নির্যাতনে জড়িত হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেবে- তা বিস্তারিত জানিয়ে নোটিশ জারি করতে হবে। পরবর্তীতে এটি যে অর্ডিন্যান্সে অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তা নোটিশে উল্লেখ থাকতে হবে। পাশাপাশি, এ ধরনের কার্যক্রম তদারকির জন্য একটি কমিটি করতে হবে এবং কমিটি গঠনের বিষয়টিও নোটিশে উল্লেখ করতে হবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সব রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে নিষিদ্ধ করা হলো।
হলে অবৈধদের বিষয়ে বলা হয়, অবৈধভাবে যারা আবাসিক হলের সিট দখল করে আছে তাদের অতিসত্বর হলের সিট খালি করা, সাংগঠনিক ছাত্র সংগঠনগুলোর অফিসরুম বন্ধ করে সিলগালা করার জন্য ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ব্যবস্থা নেবেন। ভবিষ্যতে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিন লঙ্ঘনের দায়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে র্যাগিং বা ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ এলে তা ডিসিপ্লিনারি কমিটির মাধ্যমে দ্রুত বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
এসকেবি/এইচএ/