বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আলিয়া মাদরাসা মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করেন।
কমিটির নেতাদের নাম ঘোষণার আগের তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করে এবং তারই নির্দেশনায় জেলা ও মহানগরের নতুন কাণ্ডারিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলায় সভাপতি পদে ৭ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মহানগরে সভাপতি পদে ৪ ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।
সমাবেশের দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরুতে আগের কমিটি বিলুপ্ত করেন সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি ও সমাবেশের সভাপতিত্বে থাকা অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান। এরপর পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীকে সমঝোতায় আসার আহ্বান জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি পদ প্রত্যাশীদের নিয়ে অন্তত ২০ মিনিট সমাবেশস্থল সংলগ্ন একটি হোটেলে সমঝোতার জন্য সময় দেন। সেখান থেকে বের হয়ে এসে কমিটি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।
এর মাধ্যমে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে সব কল্পনা কল্পনার অবসান ঘটলো।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান ২০১৫ সালে মারা যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান। আর সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে শফিকুর রহমান চৌধুরীকে বাদ দিয়ে আনা হয় অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন খানকে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়েছেন সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। দায়িত্ব পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন। আর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিনকে বাদ দিয়ে এই পদে চমক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক জাকির হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯, আপডেট: ১৯২৩
এনইউ/এইচএডি/