ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

খালেদার মুক্তির আন্দোলন মানে আদালতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২০
খালেদার মুক্তির আন্দোলন মানে আদালতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা

ঢাকা: খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করা মানে আদালতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা, এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেটি রাজনৈতিক মামলা নয়। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা এই মামলা এখন আদালতে বিচারাধীন।

সুতরাং আন্দোলন করা মানে আদালতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা।

শনিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকার বিভিন্ন আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য ও নব নির্বাচিত দুই মেয়রের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ওবায়দুল কাদের। এরপর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন তারা (বিএনপি) আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। তাদের আন্দোলনের এই হুমকিতে আমরা অভ্যস্ত। এই হুমকি আমরা বারবার শুনে আসছি। খালেদা জিয়াকে তারা আন্দোলন করে মুক্ত করবেন এটাই আজকে মোটামুটি অনেকে উচ্চারণ করেছে। যাদের বিবেক আছে তাদের কাছে প্রশ্ন, আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করেনি। এই সরকার মামলাও দেয়নি। এটা রাজনৈতিক মামলাও নয়। এটা দুর্নীতির মামলা যা সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার করেছে।

তিনি বলেন, যদি মনে করেন তারা আন্দোলন করে সরকারকে বাধ্য করবে তাহলে সম্ভব না। সরকারকে বাধ্য করতে পারবে না; পারবে আদালতকে। তবে এটা কতোটা সমীচীন, কতোটা যুক্তিযুক্ত? বিচার ব্যবস্থার দিক থেকে আদালতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা, আন্দোলন ঘোষণা তারা কেন করছে, এটা কোন গণতন্ত্র। ড. কামাল হোসেনকে আমি জিজ্ঞেস করতে চাই। যদি আন্দোলন করতে চায় করবে। সরকার হিসেবে আমাদের জনগণের জানমাল রক্ষার দায়-দায়িত্ব আছে। রাজনৈতিকভাবে কোনো আন্দোলন যদি হয় আমরা সেখানে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো।

এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিষয়ে জানান, যেসব জেলার সম্মেলন হয়েছে এই মাসের মধ্যে সেসব জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর যেসব জেলায় সম্মেলন হয়নি সেসব মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা সম্মেলনগুলোর কাজ সমাপ্ত করার জন্য তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া,  উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২০
এসকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ