ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

সার্চ কমিটি

‘বিএনপি খুব বেশি আশাবাদী নয়’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
‘বিএনপি খুব বেশি আশাবাদী নয়’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: রাষ্ট্রপতি গঠিত সার্চ কমিটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করবে সে ব্যাপারে বিএনপি খুব বেশি আশাবাদী নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে শেরে বাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুলেলশ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
 
বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের নতুন কমিটির নেতারা মির্জা ফখরুলকে নিয়ে ফুল দিতে যান জিয়ার সমাধিতে।


 
রাষ্ট্রপতি গঠিত সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠক বসছে শনিবার (২৮ জানুয়ারি)। এ কমিটির অনুসন্ধানের ভিত্তিতে গঠিত হবে নতুন নির্বাচন কমিশন।
 
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, দল হিসেবে এই সার্চ কমিটির কাছে বিএনপি প্রত্যাশা কী?
 
জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাশা করেছিল রাজনৈতিক সংকট নিরসনে একটি নিরপেক্ষ ইসি গঠনের জন্য নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। সাধারণ মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। কারণ, সার্চ কমিটি যাদের দিয়ে গঠন করা হয়েছে, তারা প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক।
 
সুতরাং এই সার্চ কমিটি এখন কী করবে, সে ব্যাপারে আমাদের ধারণা প্রায় স্পষ্ট। সেই জন্য পার্টি হিসেবে আমরা এখন নতুন করে কোনো আশা দেখতে পাচ্ছি না; বলেন ফখরুল।
 
তিনি বলেন, এখন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন যদি তারা ঘটাতে পারেন, তাহলে আমরা মনে করব যে, তারা দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করেছেন। তবে, আমরা খুব বেশি আশাবাদী নই। এ কমিটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবে সে ব্যাপারে আমাদের আশা ব্যাহত হয়েছে। আহত হয়েছি আমরা। আমরা ক্ষুব্ধ এবং হতাশ।
 
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে কথা বলার জন্য এবং কূটনীতিকরাও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন কথা বলার জন্য- বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
 
এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সার্চ কমিটি গঠন করার আগে এই উদ্যোগ নিলে সেটা কার্যকরী হতো। এখন এই উদ্যোগ কতটুকু ফলপ্রসূ হবে, সে ব্যাপারে আমরা আগাম কিছু বলতে চাই না। তবে, অতীতে জাতিসংঘের উদ্যোগ সফল হয়নি।
 
জিয়ার সমাধিতে ফুল দেওয়ার সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ।
 
যুবদল নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সিনিয়র সহ সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, মামুন হাসান, বিদায়ী কমিটির নির্বাহী সদস্য এইচ এম সাইফ আলী খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তফা কামাল রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিরউদ্দিন জুয়েল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেল, দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনু, সিনিয়র সহসভাপতি শরিফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাঈদ হাসান মিন্টু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন খান শাহীন প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
এজেড/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।