ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

‘এতো দেরি কেন?’

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৭
‘এতো দেরি কেন?’ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল

ঢাকা: স্বাধীনতার ৪৭তম বর্ষে এসে ২৫ মার্চকে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ পালনে সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি।
 

রোববার (২৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর শেরে বাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।
 
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গণহত্যা হয়েছে ৪৬ বছর আগে।

এরপর বেশ কয়েকবার ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে তারা ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসছিলো। তখন তো গণহত্যা দিবস পালন করেনি। আমাদের এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের উপলব্ধিতে বিষয়টি এতো দেরি করে এলো কেন?’
 
সারা দেশে জঙ্গি তৎপরতা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলে আসছিলাম, এ সমস্যা একটি জাতীয় সমস্যা। এটিকে মোকাবেলা করতে হলে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের ডাকও দিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সে ডাকে সাড়া দেয়নি’।
 
গণতন্ত্র চর্চার জায়গা সঙ্কুচিত করে ফেলা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭তম বর্ষে এসে এখনো আমাদেরকে গণতন্ত্রের জন্য কথা বলতে হচ্ছে, লড়াই করতে হচ্ছে। অথচ স্বাধীনতার মূল চেতনাই ছিলো গণতন্ত্র’।

‘সেই গণতন্ত্র এখন নির্বাসনে। আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই করছি। মহান স্বাধীনতা দিবসে আমরা শপথ নিচ্ছি, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো।
 
এর আগে দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় মির্জা ফখরুল ছাড়াও তার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও এম এ মান্নান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম ও আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ।
 
এর আগে সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর পর মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সত্যিকার অর্থে একটি আধুনিক বাংলাদেশ, একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ, একটি মুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণে আমাদেরকে কাজ করতে হবে’।

তিনি আরো বলেন, ‘দেশে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম শুরু হয়েছে। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে আমরা আজ শপথ নিচ্ছি, আমরা গণতন্ত্রকে ফের উদ্ধার করবো’।

বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সকাল ০৯টা ৩২ মিনিটে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। মির্জা ফখরুল ছাড়াও তার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস ও ড. আব্দুল মঈন খান,  চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৭
এজেড/এসএইচএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।