ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

‘নৌকা বুকে নিয়ে ভোট দিয়েছে ধানের শীষে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
‘নৌকা বুকে নিয়ে ভোট দিয়েছে ধানের শীষে’ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন আব্দুল্লাহ আল নোমান। ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে জিততে বিএনপিকে কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে জানিয়ে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, নৌকা মার্কা বুকে নিয়ে ভোটাররা ধানের শীষে ভোট দিয়েছে। 

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় স্বাধীনতা হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  
 
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ জিয়া’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন।

 
 
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) কুসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু এবং দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ একযোগে অভিযোগ করেন, নির্বাচনে কারচুপি, সন্ত্রাস, কেন্দ্র দখল এবং নৌকার পক্ষে জোর করে সিল মারা হচ্ছে।  
 
কিন্তু দিন শেষে নির্বাচনের ফল বিএনপির পক্ষে যায়। এরই প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ থেকে প্রশ্ন ওঠে বিএনপি নেতাদের অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বলা হয়, নৌকার পক্ষে সিল মারলে বিএনপি জিতলো কীভাবে? 
 
আলোচনা সভায় স্বেচ্ছায় প্রসঙ্গটা টেনে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘সিল মারার পরও জেতা যায়। অনেক কৌশল অনেক সময় অনেকভাবে নিতে হয়। নৌকা মার্কা বুকে নিয়ে ধানের শীষে ভোট দেওয়া আমাদের বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই প্রচলিত আছে। ’ 
 
তিনি বলেন, বিএনপির ভোটাররা জানে, নৌকা প্রতীক বুকে লাগিয়ে কেন্দ্রে গেলে কেউ তাদের বের করে দেবে না। আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা বাধা দিতে এলেও পুলিশ তাদের রক্ষা করবে। তাই বিএনপির ভোটাররা নৌকা মার্কা বুকে নিয়ে ধানের শীষে ভোট দিয়েছে।  
 
মনিরুল হক সাক্কু ও রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগ সত্য ছিলো মন্তব্য করে নোমান বলেন, যদি কেন্দ্র দখল না হতো, বিএনপির ভোটাররা ঠিক মতো ভোট দিতে পারতো, তাহলে ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে আমরা জিততাম। সিলা মারা হয়েছে, ভোট কেন্দ্র দখল হয়েছে বিধায় ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছি।  
 
৭ মার্চের বক্তৃতা ছিলো বিরল বক্তৃতা
এ আলোচনা সভার শুরুর দিকে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের বক্তৃতা ছিলো বিরল বক্তৃতা। ইতিহাস যেটা সেটা ইতিহাসই। বিএনপির পারসেপশন থেকে বলে সেটিকে ওল্টানো যাবে না।  
 
ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টা আওয়ামী লীগ থেকেই হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ৭ মার্চের আগে স্বাধীনতার কথা আমরাও বলেছি। কিন্তু জনগণ আমাদের কথা শুনবে কেন? শুনবে শেখ মুজিবের কথা। তাই শেষ দিন পযর্ন্ত তার কথা শোনার জন্য মানুষ অপেক্ষা করেছে।  
 
‘কিন্তু শেখ মুজিব যখন পারলেন না, তখন মানুষ পেছনের দিকে আর তাকায়নি। তারা আন্দোলনকে সশস্ত্র আন্দোলনের দিকে নিয়ে গেছে। সেই আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে সাধারণ জনগণ। ’
 
সুতরাং কে ঘোষক, কে পাঠক-সে বিষয়টিকে আমি গুরুত্ব দিই না। কারণ, ইন্দিরা গান্ধীসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নেতাদের বক্তৃতায় বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে-বলেন আব্দুল্লাহ আল নোমান।  
 
জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহম্মদ রহমতউল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মঞ্জুর হোসেন ঈসা।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
এজেড/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।