রোববার (০৭ মে) রাজধানীর বশিরউদ্দিন মিলনায়তনে আয়োজিত ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছে, হত্যা করে ফেলা হয়েছে।
বিএনপি নেতা-কর্মীরা মাথা নত করতে জানে না। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, নিযার্তনের বিরুদ্ধে তারা জেগে উঠছে, জেগে উঠবে। সমস্ত অপকর্ম, অপচেষ্টাকে বানচাল করে দিয়ে গণতন্ত্রের পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরবেই- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নতুন নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপি নতুন করে প্রাণ পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশ বলেছে দুপুর ১টার মধ্যে প্রোগ্রাম শেষ করতে হবে। এর অর্থ কী? অর্থ হলো, প্রোগ্রাম করতে দেব না। শুধু এখানেই না। চট্টগ্রাম, ঝিনাইদহ, মাদারীপুর, বরিশাল, নড়াইল, কুষ্টিয়া প্রভৃতি জায়গায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুণ্ডারা আমাদের সভা ভেঙে দিয়েছে। এতেই প্রমাণ হয়, সরকার বিএনপিকে ভয় পায়। ছোট খাটো কর্মীসভাও তারা করতে দিতে চায় না।
শনিবার (০৬ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে উদ্বোধন হওয়া কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের কাজ বিএনপি সরকারের আমলে শুরু হয়েছিলো দাবি করে ফখরুল বলেন, গতকাল কক্সবাজারে নতুন একটা মেরিন ড্রাইভ ওপেন করলেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ প্রচার করছে, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) উন্নয়নের এ কাজ করেছেন। এটা ঠিক নয়। আমরা যে কাজ শুরু করেছিলাম, সেটাই আজ শেষ হয়েছে।
আওয়ামী লীগের উন্নয়ন মানে লুণ্ঠন- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বলতে শুরু করেছেন, বিএনপি এলে নাকি হাওয়া ভবন তৈরি হবে। আমি আপনাদের (আওয়ামী লীগ নেতা) মনে করিয়ে দিতে চাই- ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পযর্ন্ত যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন মাওলানা ভাসানী আপনাদের দুর্নীতি ও লুণ্ঠনের কারণে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের নাম পাল্টে এখন রাখা উচিত ‘নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট সমিতি’।
এরশাদের নতুন জোটের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, শুনলাম যে তথাকথিত গৃহপালিত বিরোধী দল নাকি নতুন জোট গঠন করেছে। ৫৯টি দলের জোট। এর মধ্যে মাত্র ২টা দল নাকি নিবন্ধিত। আর বাকি সব তার তৈরি করা। যারা নিজেরাই বিরোধীদল নয়। তিন জনকে সরকারে পাঠিয়েছে মন্ত্রিত্ব করতে। নিজে বিশেষ দূত হয়েছেন! তিনি আবার সরকারের বিরোধিতা করবেন বলে জোট তৈরি করেছেন মহাজোটের মধ্যে থেকে।
আওয়ামী লীগ নিজেই ধাপ্পাবাজির রাজনীতি করছে অভিযোগ তুলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২০৩০ সালে বিএনপি কী করবে-এটা খালেদা জিয়া ১০ তারিখে জানাবেন জাতির সামনে। ওনারা বলছেন এটা নাকি ধাপ্পাবাজি। দেশনেত্রী যখন দেশের মানুষকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাবেন, তখন সেটাকে ধাপ্পাবাজি বলছেন। এর একটাই কারণ, আপনারা নিজেরা ধাপ্পাবাজির রাজনীতি করেন। প্রতারণা করেই আপনারা বার বার ক্ষমতায় আসেন।
ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ ) বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, শিরিন সুলতানা, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সালাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশে সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭/আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা
এজেড/এমজেএফ